আলীকদম। আলীর সুড়ঙ্গ। আলীকদম দর্শনীয় স্থান সমূহ।

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান জেলার উপজেলা আলীকদমে আপনাকে স্বাগতম।

পরিচিতি- আলীকদম দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের পাহাড়-পর্বতের কথা বলতে গেলেই নাম আসে বান্দরবানের। তার একটি উপজেলা আলীকদম। বান্দরবান থেকে আলীকদম উপজেলা প্রায় ১১১ কি.মি দূরত্ব। যার পূর্বে ও উত্তর-পূর্বে থানচি উপজেলা, উত্তর-পশ্চিমে লামা উপজেলা, পশ্চিমে ও দক্ষিণ-পশ্চিমে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে ও দক্ষিণে মায়ানামারের রাখাইন প্রদেশ। আলীকদম নামের উপৎপত্তি হয় ”আলোহক্যডং” থেকে। আলীকদম-এ সবথেকে বেশি জনপ্রিয় আলীর ‍সুড়ুঙ্গ। আলীকদমের যাতায়াত রাস্তা গুলো পাহাড়ের সবচেয়ে উঁচুতে। আলীকদমের অর্থনীতির মূল উৎস হল জুম চাষ এবং বাঁশ-কাঠ। মাতামুহুরী নদী প্রবাহিত হচ্ছে আলীকদম উপজেলার মধ্যে দিয়ে ।


যেভাবে যাবেন- আলীকদম দর্শনীয় স্থান

আপনি যে এলাকা থেকে আলীকদম আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (আলীকদম) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।

দর্শনীয় স্থান-

আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটাতে এই অঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান।

আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-                 

ডিম পাহাড়:

বাংলাদেশ অন্যতম পর্বতশৃঙ্গ। সমতল থেকে আড়াই হাজার ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছে সবচেয়ে উঁচু সড়কপথ। পাহাড়টি আকৃতি ডিমের মত তাই স্থানীয়রা ডিম পাহাড় বলে।

চকরিয়া থেকে বাস বা চান্দের গাড়ি (জিপ) দিয়ে আলীকদম যাবেন। আলীকদম থেকে মোটর বাইকে করে ডিম পাহাড় যাওয়া যায়।

আলীর গুহা বা আলীর সুড়ঙ্গ:

আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত এই আলীর সুড়ঙ্গ বা আলীর গুহা। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে এই সুড়ঙ্গ বা গুহা । সুড়ঙ্গটি যথেষ্ট সরু, হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয় দর্শনার্থীদের। যেখানে টর্চ লাইট ব্যবহার করতে হয়।

আলীকদম বাস স্ট্যান্ড থেকে ৩কি.মি দূরত্ব আলীর সুড়ঙ্গ। আলীকদম থেকে অটো বা পায়ে হেঁটে প্রথমে মংচুপ্র পাড়ায় যাবেন এরপর গুহায় মুখে যেতে প্রায় ২০ মিনিটের মত হাঁটতে হয়।

দামতুয়া ঝর্ণা:

এই উপজেলায় অবস্থিত। ১২-১৪ কি.মি পায়ে হেঁটে পাহাড় বেয়ে যেতে হয় এই ঝর্ণার।  এই ঝর্ণায় যাতায়াত করতে পর্বত আরোহীদের অন্যরকম অভিজ্ঞতা তৈরি হবে। যারা গিয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় এভারেস্ট জয় করার মত।


অন্যান্য দর্শনীয় স্থান-

এছাড়াও আলীকদমের রয়েছে বিভিন্ন ঝর্ণা (চাইম্প্রা ঝর্ণা, তামাংঝিরি জলপ্রপাত, তিনাম ঝর্ণা, থাঙ্কুয়াইন ঝর্ণা, পালংখিয়াং ঝর্ণা, পোয়ামুহুরী ঝর্ণা, মারাইংতং পাহাড়, রুপমুহুরী ঝর্ণা, লাদ মেরাগ ঝর্ণা, শিলবুনিয়া ঝর্ণা ইত্যা) এছাড়া দেখার মত পাহাড় রয়েছে ক্রিসতং পাহাড়। বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর আলীকদম সেনানিবাস।

যেখানে রাত্রিযাপন-

  • ২০০ টাকার রুম মুটামুটি মানের রুম ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে  আলীকদম-থানচি সড়ক এ হোটেল রয়েছে।
  • রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।

যেখানে খাবেন-

  • আলীকদমের খাবার? ———> এই অঞ্চলে বিভিন্ন তাজা পাহাড়ি শাক-সবজি এবং ফলমূল পাবেন।
  • এই অঞ্চলে কিছুদূর হাটলেই নানান পাহাড়ি গড়ে তুলা খাবার ঘর জুটে।

কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো?  রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?

  • আলীকদম যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
  • আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
  • বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
  • প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থার য়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে্যর লীলাভূমি এবং পাহাড়কে পাহাড় আলীকদমে আপনাকে আমন্ত্রণ।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহের তথ্য (কাউন্টার লোকেশন ও ফোন নাম্বার, ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং এরিয়ার পরিচিতি, যেখানে থাকবেন এবং খাবেন) পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন। 

x