খাগড়াছড়ির দর্শনীয় স্থান ও ইতিহাস
পাহাড়, গুহা ও ঝর্ণার শহর খাগড়াছড়ি। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে আপনাকে স্বাগতম।
পরিচিতিঃ
প্রকৃতির পরম মমতায় গড়া এই অঞ্চলের সৌন্দর্য্য ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। সবুজের মাঝে হারিয়ে যেতে ও আকাশ পাহাড়ের মিতালী অবলোকন করতে খাগড়াছড়ির চেয়ে ভাল পছন্দ হতে পারেনা। উপজাতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্রতা দেখা ছাড়াও এই অঞ্চলের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য দর্শণীয় স্থান যা ভ্রমণপিপাসু এডভেঞ্চারপ্রিয়দের তৃষ্ণা মেটাবে। এই খাগড়া বন থেকে খাগড়ছড়ি। অতীতে যাকে বলা হত কার্পাস মহল।
যেভাবে যাবেন-
- কাউন্টারে যোগাযোগ করতে নিচে স্ক্রল করলে কাউন্টারের তথ্য পেয়ে যাবেন।
দর্শনীয় স্থান- খাগড়াছড়ির দর্শনীয় স্থান
পাহাড়ের সৌন্দর্য্য দেখতে চাইলে আপনি অবশ্যই খাগড়াছড়ি যে জায়গাগুলোতে ভ্রমণ করবেন:
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রঃ
পর্যটন কেন্দ্রটি খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের পার্শ্বে অবস্থিত হওয়ায় বাস, ট্যাক্সিযোগ যাতায়াত করা যায়। খাগড়াছড়ি সদর থেকে আলুটিলা ৯ কি.মি দূরত্ব। আলুটিলা থেকে এক নজরে পুরা খাগড়াছড়ি সদর দেখা যায়।
আলুটিলার ঝর্ণা বা রিছাং ঝর্ণাঃ
সড়কের হতে হেরিংবোন রাস্তার জীপ, ভাড়া গাড়ি, বাইক, হেঁটে যাতায়াত করা যায়। অসাধারণ ঝর্ণা শত শত মানুষের ভীড়। যেখানে গোসল করার ব্যবস্থা রয়েছে। খাগড়াছড়ি থেকে রিচাং ঝর্ণার ৪ কি.মি দূরত্ব।
আলুটিলার রহস্যময় সুড়ঙ্গ/গুহাঃ
খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে পার্শ্বে এই সুড়ঙ্গ। যেকোন পরিবহন নিয়ে যাতায়াত করা যায়। টিকেট কেটে ঢুকতে হয় এই গুহায়/সুড়ঙ্গে। খাগড়াছড়ি সদর থেকে ৮ কি.মি দূরত্ব। টর্চ/বাতি নিয়ে এই গুহায় পা রাখতে মাঝপতে সরু হওয়াতে হামুগুড়ি দিয়ে যেতে পর্যটকদের। অন্য রকম অভিজ্ঞতা তৈরি হবে এই আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গে।
দেবতার পুকুরঃ
খাগড়াছড়ি সদর থেকে ১১ কি.মি দক্ষিণে নূনছড়ি মৌজার চির প্রশান্তিময় দেবতার পুকুরের অবস্থান। প্রতি বছর পূজায় হাজারো মানুষের ভীড় জমে। বিশাল পুকুর চতুর্দিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আপনার মনে আনন্দ বয়ে নিয়ে আসবে।
- সদরে দেখার মত পার্ক, স্মৃতিসৌদ, কুটির রয়েছে।
- খাগড়াছড়ি সদরে রয়েছে চেঙ্গী নদী, হর্টিকালচার পার্ক, হেরিটেজ পার্ক, ঝুলন্ত ব্রীজ, রাবার ড্যাম, হাতিমুড়া পাহাড় ইত্যাদি ইত্যাদি।
- খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক অনেকটা কাছে যদিও সাজেক ভ্যালি খাগড়াছড়ি জেলার পড়ে নাই। কিন্তু সাজেক সম্পর্কে তথ্য থেকে রাঙ্গামাটি জেলায় প্রবেশ করুন।
যেখানে রাত্রিযাপনঃ খাগড়াছড়ির দর্শনীয় স্থান
২০০ টাকার রুম থেকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট অবধি ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে পর্যটন মোটেল (যোগাযোগ- 0371-62084), হোটেল ইকোছড়ি ইন (যোগাযোগ- 037161625), শৈল সুবর্ণ (যোগাযোগ 0371-61436), হোটেল জিরান (যোগযোগ- 037161071), ফোর স্টার, খ্রি-ষ্টার, লবিয়ত, চেঙ্গী, উপহার, রাজু বোর্ডিং, চৌধুরী বোর্ডিং, ভাই ভাই বোর্ডিং ইত্যাদি।
- রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।
যেখানে খাবেনঃ
- খাগড়াছড়ি উপজাতিদের খাবার নিয়ে যত কৌতূহল আমাদের মাঝে। ছোট ছোট রেস্তোরা, হোটেল, ক্যাফে রয়েছে উপজাতি। যেখানে আপনি নানান রকম সুস্বাদু, ইউনিক খাবার পাবেন। যা আগে কখনো দেখেননি। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ তবে খাগড়াছড়ি প্রচুর পরিমাণ কৃষিজ ফল উৎপন্ন হয়।
- তেঁতুলের কচি পাতা দিয়ে মুরগির স্যুপ, ফাল্গুনের কচি লালাভ আমপাতা ভর্তা কিংবা কাঁচা কচি আস্ত কলাগাছের ভর্তা, কচি বাঁশের নানা পদের রান্না, বাঁশ ভাজি, বাঁশ ডাল, মোচা ভর্তা, কাঁচা হলুদ ভর্তা, ছোট মাছ দিয়ে হলুদ ফুলের সবজি, কলাপাতা মোড়ানো ছোট মাছ, কলমি ভর্তা, থানকুনি পাতা ভর্তা, বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধ সবজি, চিকের গুরদানি, পাহাড়ি হাঁসের মাংসের কালাভুনা, কাঁচকি ফ্রাই ও ভর্তাসহ বিভিন্ন মজাদার সুস্বাদু পদ ।
পাহাড়ি শহরে আপনার পছন্দের কেনাকাটাঃ
পাহাড়িদের নিজেদের তৈরি বিভিন্ন পোশাক, শিল্প, হাতের তৈরি নানান প্রকারের সংসারের সরঞ্জা ইত্যাদি। এমন কিছু দেখবেন যা বাঙ্গালির ঐতিহ্য যা এখন বিরল।
কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
- খাগড়াছড়ি যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন । প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
- আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
- খাগড়াছড়ি ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
- খাগড়াছড়িতে প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।
পাহাড় ঘেরা শহর, সুড়ঙ্গ, ঝর্ণা, ঝুলন্ত ব্রীজ, উপজাতি, বিভিন্ন ধরণের সংস্কৃতির এক শহরে আপনাকে আবারও আমন্ত্রণ।
এছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা বা উপজেলা এবং দর্শনীয় স্থান সমূহের সকল তথ্য পেতে ক্লিক করুন