খুলনা যাবো । খুলনা দর্শনীয় স্থান । কোথায় থাকবো । রাত্রি যাপন সহ ইত্যাদি তথ্য
বাণিজ্যিক শিল্প নগরী এবং পৃথিবীর বিখ্যাত উপকূলীয় বন সুন্দরবন খুলনা শহরে আপনাকে আমন্ত্রণ। ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পর দেশের ৩য় বৃহত্তম শহর হল । দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা এবং ভৈরব নদীর তীরে গড়ে ওঠা কিসমত খুলনা শহরে আপনাকে স্বাগতম। খুলনা যাবো পেইজে ঘুরে আসুন।
পরিচিতিঃ
বাংলাদেশে আটটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম বাণিজ্যিক বিভাগ মংলা বন্দর বিভাগীয় শহর হল খুলনা। খুলনা বিভাগ পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সীমানা, উত্তরে রাজশাহী বিভাগ, পূর্বে ঢাকা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগ এবং দক্ষিণে ম্যানগ্রোভ বন নামে সুন্দরবন সহ বঙ্গোপসাগর। অসংখ্য নদীর ঘেরা এই বিভাগ মধুমতি নদী, ভৈরব নদী ও মাইকেল মধুসূদনের কপোতাক্ষ নদী। বঙ্গোপসাগরের অসংখ্য দ্বীপ রয়েছে এই খুলনা বিভাগে। সর্বমোট ১০টি জেলা নিয়ে খুলনা বিভাগ গঠিত। সরকারি, বেসরকারি মিলে অসংখ্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ রয়েছে। বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির সংখ্যাও কম নয়। মৃণালিনী দেবী তথা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এর স্ত্রী, চিত্র নায়িকা মৌসুমী, ববিতা, চম্পা, আসিফ ইমরোজ, বাংলাদেশের অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, এনামুল হক, ইমরুল কায়েস, তুষার ইমরান, সৈয়দ রাসেল, জিয়াউর রহমান, মেহেদী হাসান, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ইত্যাদি। মাছ চাষের জন্য বিখ্যাত এই শহর। পূর্বে খুলনা জেলাকে জাহানাবাদ নামেও পরিচিত।
যেভাবে যাবেন- খুলনা যাবো
আপনি যে এলাকা থেকে খুলনা আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (গন্তব্যস্থল) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।
দর্শনীয় স্থান সমূহ-
আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটাতে এখানে অনেক প্রাকৃতিক দৃশ্য, নদী, সাগর, সেতু, পার্ক, স্মৃতিসৌধ রয়েছে এই খুলনা শহরে।
আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-
ভূতিয়ার পদ্মবিলঃ
নিচের পানি উপরে সবুজ ফুলের বাগানের মত ঘিরে আছে ভুতিয়ার পদ্মবিলে পদ্ম ফুল। খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ভুতিয়ার পদ্মবিল অবস্থিত। সারাদিন পদ্মফুল দেখতে পারেন ঘুরে ঘুরে। খুলনা শহর থেকে বাস/সিনএজি/প্রািইভেট গাড়ি নিয়ে ১৮ কিলোমিটার যেতে হয় এই ভুতিয়ার পদ্মবিলে। নৌকা চড়ে ফুলের সান্নিধ্যে যেতে পারবেন। নৌকায় চড়ার আগে দরদাম করে নিন।
পুটনী দ্বীপঃ
পুটনী দ্বীপ বা পুটনী আইল্যান্ড কিংবা দ্বীপচর। সামনে তাকালে দিগন্ত জোড়া সমুদ্র এবং পিছনে তাকালে ঘন বনাঞ্চল এরই মাঝ দিয়ে আছে সবুজ ঘাসের প্রান্তর এবং আঁকাবাকা খাল। হরিণ আর মাছে অভয়ারণ্য হওয়ায় পুটনী দ্বীপে জেলে ও সাধারণ মানুষের তেমন দেখা মিলে না। খুলনা জেলার মংলা বন বিভাগের অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে পুটনী দ্বীপে দেখতে যেতে পারেন।
হিরণ পয়েন্টঃ
ইউনেস্কো ঘোষিত অন্যতম বিশ্ব ঐতিহ্য হিরণ পয়েন্টের অন্য নাম নীলকমল কিংবা হিরণ পয়েন্টে। এখানে রয়েছে বানর, হরিণ, বাঘ সহ নানা প্রজাতির সরীসৃপ ও পাখির দর্শন মিলে। খুলনা শহর থেকে বাগেরহাট মংলা বন্দর থেকে সুন্দরবন হিরণ পয়েন্ট যাওয়ার লঞ্চ পাবেন।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধিঃ
১৯৭১ সালের ১০ই ডিস্মেবর খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছাকাছি একটি যুদ্ধ জাহাজের অবস্থানকালীন শত্রুদের বিমান হামলায় শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন। খুলনা সদর থেকে রূপসা বাস স্ট্যান্ড থেকে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়ক ধরে মাত্র ৫০ গজ সামনে এগিয়ে গেলেই বীরশ্রেষ্ঠ রুহল আমিনের সমাধি দেখতে পাবেন।
বিভাগীয় জাদুঘরঃ
খুলসা শহরে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে নেমে স্থানীয় পরিবহণের শিববাড়ী ট্রাফিক মোড়ের মাজিদ সরণিতে জিয়া হলের সামনে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর। ১৯৯৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলার শহরের শিববাড়ী মোড় সংলগ্ন পাবলিক হলের পাশে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
খান জাহান আলী সেতুঃ
খুলনা শহর থেকে রূপসা সেতুর দূরত্ব ১৭ কি.মি। এই সেতুর দৈর্ঘ্য ১.৬০ কি.মি। এই সেতুটি দক্ষিণাঞ্চলের সকল জেলা ও মংলা সমুদ্র বন্দরের সাথে সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত করা হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয়ঃ
খুলনা শহর থেকে ফুলতলা উপজেলায় নেমে সেখা থেকে রিক্সা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি ঘুরে আসতে পারবেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কবিপত্নীর আবক্ষ ভাষ্কর্য ও দ্বিতল ভবন। এছাড়াও রয়েছে ঘন সবুজ বাগান পান বরজ এবং নার্সারি এই বাড়িটির শোভাবর্ধন করেছে।
বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ডঃ
খুলনা বিভাগের মংলা উপজেলার দুবলার চর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে হিরণ পয়েন্ট ও দুবলার চরের মাঝখানে বঙ্গোপসাগরে বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড বা বঙ্গবন্ধু দ্বীপ।
শহীদ হাদিস পার্কঃ
খুলনা শহরে এসে অটোরিক্স দিয়ে সহজে হাদিস পার্কে আসতে পারবেন। শহীদ হাদিস পার্ক বিভাগীয় শহর খুলনার বাবুখান রোডে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক পার্ক।
করমজল পর্যটন কেন্দ্রঃ
খুলনা শহর কমরজল পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়া যায়। এখানে ২০ থেকে ৩০০ টাকা প্রবেমমূল্য। কমরজল পর্যটন কেন্দ্রটি সুন্দরবনে পশুর নদীর তীরে অবস্থিত। বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে ৩০ হেক্টর জমির উপর পর্যটন গড়ে তোলা হয়েছে।
সুন্দরবনঃ
সুন্দরবন একটি প্রাকৃতিক বিস্ময়ের নাম, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন বা লবণাক্ত বনাঞ্চল। সুন্দরবনে যে জায়গাগুলো যেতে আপনার জন্য সহজ হবে মান্দারবাড়িয়া সৈকত, হীরণ পয়েন্ট, দুবলার চর, কটকা বিচ ইত্যাদি। সুন্দরবনে মোট আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গ কি.মি।
কটকা সমুদ্র সৈকতঃ
খুলনা শহর থেকে রূপসা কিংবা বাগেরহাটের মংলা বন্দর থেকে সুন্দরবন যাওয়ার লঞ্চ পাবেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবনের বৈচিত্রময় স্থানগুলোর মধ্যে কটকা অন্যতম। মংলা বন্দর থেকে কটকার দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার। সুন্দরবেরন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য কটকাতে রয়েছে ৪০ ফুট উঁচু একটি ওয়াচ টাওয়ার। লঞ্চ হচ্ছে কটকাতে যাওয়ার প্রধান মাধ্যম।
যেখানে রাত্রিযাপনঃ
- ৫০০ টাকার রুম থেকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট অবধি ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে হোটেল বিসমিল্লাহ (আবাসকি) (01919-899394), সি এস এস রেষ্ট হাউজ (041722355), কারিতাস রেস্ট হাউস (041722906), ঢাকা ম্যাচ ইন্ডাস্ট্রিজ রেস্ট হাউস (041721336), প্লাটিনাম জুট মিলস লিঃ রেষ্ট হাউজ (041721336), প্লাটিনাম জুট মিলস লিঃ রেষ্ট হাউজ (041762335), ক্রিসেন্ট জুট মিলস লিঃ রেষ্ট হাউজ (041762237), রূপসা রেস্ট হাউজ (041721030) ইত্যাদি।
রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।
যেখানে খাবেনঃ খুলনা যাবো
- খুলনার খাবার? >>> খুলনার খাবার জিরো পয়েন্টের কামরুলে গরু আর খাসি খাবার, বেজের ডাঙ্গার মুসলিমমের গরু আর খাসি, মেজবানের বাড়ির সরিষা-খাসি, কাচ্চি বিরিয়ানি, মেগার কাচ্চি বিরিয়ানি, রাজকচুরীর রাজস্থানি খাসি, বাঁশ বাগানের খিচুড়ি কলিজ মুরগী ভুনা, হানিফ কাকার ভর্তা হোটেল , নিউমার্কেটের দই-ফুচকা, ডাকবাংলা বাদা-চা ও নিউমার্কেটের পেছনের দুধ চা ইত্যাদি জনপ্রিয় হয়ে আসে ভ্রমণপিপাসুদের খাবার চাহিদায়। খুলনা শহরে দু’কদম হাটলেই বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে।
খুলনা যাবো >কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
- খুলনা যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন । প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
- আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
- খুলনা বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
- খুলনা প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।
- সুন্দরবন, ম্যানগ্রোফ, ছোট ছোট দ্বীপ, প্রাকৃতিক অন্যরকম চিত্র ফুঠিয়ে রয়েছে এই শহরে। খুলনা দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র যেখানে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিনিয়ত ভ্রমণ করতে যায়।
বাংলাদেশের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন