গোপালগঞ্জ যাবো । দর্শনীয় স্থান সমূহ । কোথায় থাকবো । কোথায় খাবো সহ ইত্যাদি
বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান ও বিখ্যাত মধুমতি নদী কেন্দ্রিক শহর গোপালগঞ্জ সম্পর্কে জেনে নিই।
পরিচিতি-
মধুমতি নদীকে কেন্দ্র করে বর্তমান গোপালগঞ্জ শহরের যাত্রা। তৎকালীন বাকেরগঞ্জ থেকে আলাদা হয়ে ১৮৫৪ সালে মাদারীপুর মহকুমা এবং ১৮৭২ সালে মাদারীপুর মহকুমায় গোপালগঞ্জ নামক একটি থানা গঠিত হয়। একবছরপর অর্থাৎ ১৮৭৩ সালে মাদারীপুর মহকুমাকে বাকেরগঞ্জ জেলা থেকে ফরিদপুর জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ১৯০৯ সালে মাদারীপুর মহকুমাকে ভেঙ্গে গোপালগঞ্জ মহকুমা গঠন করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। এটি পূর্বে ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত একটি মহকুমা ছিল।
যেভাবে যাবেন-
আপনি যে এলাকা থেকে গোপালগঞ্জ আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (গোপালগঞ্জ) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।
গোপালগঞ্জ দর্শনীয় স্থান-
আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটাতে এই অঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান।
আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সঃ
জাতির পিতা ,স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধটি অবস্থিত গোপালগঞ্জ জেলা সদরের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ১০ জানুয়ারি এ সমাধিসৌধের উদ্বোধন করেন। বাইগার নদীর পাড়ে প্রায় ৩৯ একর জমির উপর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এই সমাধি সৌধটি নির্মাণ করে। কমপ্লেক্সের সামনের উদ্যান পেরিয়ে গেলেই বঙ্গবন্ধুর কবর চোখে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশেই তাঁর বাবা শেখ লুৎফর রহমান এবং মা সায়েরা খাতুনের কবর। এই তিন কবরকে ঘিরেই মূল সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, পাবলিক প্লাজা,গবেষণাকেন্দ্র, প্রদর্শনী কেন্দ্র, মসজিদ, পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া, উন্মুক্ত মঞ্চ, বকুলতলা চত্বর,স্যুভেনির কর্নার, ফুলের বাগান এবং কৃত্রিম পাহাড়।
যেভাবে যাবেনঃ; গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রাম ও পুলিশ লাইন মোড় থেকে বাস টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ভাড়া ৪০ টাকা। এছাড়া সদর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা রিজার্ভ করে বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধে যেতে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ভাড়া লাগে।
জমিদার গিরীশ চন্দ্র সেনের বাড়ীঃ
ঐতিহাসিক ও দৃষ্টিনন্দন গিরিশ চন্দ্র সেনের জমিদার বাড়িটি গোপালগঞ্জ জেলার ভাটিয়াপাড়ায় মধুমতি নদীর তীরে অবস্থিত ।এই জমিদার বাড়িটি ইংরেজী ইউ আকৃতির এই বাড়ির মাঝের অংশটিতে একটি দ্বিতল ভবণ এবং দুইপাশে একতলা ভবন রয়েছে। ৩দিকে প্রাচীরে ঘেরা জমিদার বাড়ির বামপাশে একটি মন্দির ও ডান পাশে ছনের তৈরী একটি কাছারি ঘর ।গাছপালায় ঘেরা জমিদার বাড়ির সামনে আছে একটি পুকুর, যা গিরীশ চন্দ্র সেন স্থানীয়দের জন্য খনন করেছিলেন।
যেভাবে যাবেনঃ; ঢাকা থকে সরাসরি বাসে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলায় নেমে সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে গিরীশ চন্দ্র সেনের জমিদার বাড়িতে যাওয়া যায়।
উলপুর জমিদার বাড়িঃ
উনিশ শতকের ঐতিহাসিক স্থাপনা উলপুর জমিদার বাড়িটি গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে আট কিমি দূরে উলপুর গ্রামে অবস্থিত। জমিদার প্রীতীশচন্দ্র রায় চৌধুরী ১৯০০ শতকে প্রায় ২০০ একর জায়গা জুড়ে উলপুর জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। কাল পরিক্রমায় জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলেও তৎকালীন জমিদার কতৃক নির্মিত ভবনগুলো ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসাবে এখনো আছে। তৎকালীন সময়ে উলপুর গ্রামে জমিদারীর কাজে ব্যবহৃত এই ভবনগুলো বর্তমানে উলপুর পুরনো ইউনিয়ন বোর্ড অফিস, তহশীল অফিস, সাব পোষ্ট অফিস, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পুরানো সরকারী শিশু সদন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
যেভাবে যাবেনঃ >> ঢাকার থেকে সরাসরি গোপালগঞ্জের কুয়াডাংগা বাসস্ট্যান্ড সেখান থেকে বাসে উলপুর গ্রাম, এবং গাড়ি থেকে নেমে স্থানীয় যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলে উলপুর জমিদার বাড়ির খোজ পেয়ে যাবেন ।
লাল শাপলার বিলঃ
বর্ষা মৌসুমে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার প্রায় ২৫ টি বিল হাজারো লাল শাপলার রঙে রঙিন হয়ে উঠে। শাপলা বিলের এই অপূর্বসৌন্দর্য দেখে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে ।নৌকাইয় চড়ে বিল গুলোতে ফুটে থাকা শাপলা অপরূপ সৌন্দর্য উওভোগ করা যায় ।
যেভাবে যাবেনঃ >> ঢাকার গুলিস্তান থেকে মাওয়া ঘাট হয়ে টুঙ্গিপাড়া অথবা সরাসরি ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে করে সরাসরি টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান-
- ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ি
- অন্যন্যা চন্দ্র ঘাট
- বধ্যভূমি স্মৃতি সৌধ
- বিল রুট ক্যানেল
- আড়পাড়া মুন্সীবাড়ি
- শেখ রাসেল শিশু পার্ক
যেখানে রাত্রিযাপন-
- হোটেল মধুমতি, টুংগীপাড়া, গোপালগঞ্জ। -০১৭১২-৫৬৩২২৭
- হোটেল রানা, চৌরঙ্গী, গোপালগঞ্জ। ফোন-০২-৬৬৮৫১৭২
- হোটেল রিফাত, চৌরঙ্গী, গোপালগঞ্জ।ফোন-০২-৬৬৮৫৬২৪
- মধুমতি ,টুঙ্গিপাড়া থানা । ফোন-০২-৬৬৫৬৩৪৯
- জেলা পরিষদ কটেজ, গোপালগঞ্জ। ফোনঃ০৬৬৮-৬১২০৪।
- গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউজ। ফোনঃ ০২-৬৬৮৫২৩৪
যেখানে খাবেন-
- গোপালগঞ্জ জেলার বিখ্যাত খাবার হল গোল্লা ও ছানার জিলাপি। গোপালগঞ্জ জেলার কোটচত্ত্বর এলাকায় সুধির দত্তের মিষ্টির দোকান বেশ বিখ্যাত ।
কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
- গোপালগঞ্জ যে প্রান্তে আসবেন না কেন, কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
- আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
- বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
- প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থার য়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।