ঝালকাঠি দর্শনীয় স্থান । রাত্রি যাপন । খাবার ব্যবস্থা । ভ্রমণ গাইড ইত্যাদি
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ঝালকাঠি জেলায় আপনাকে স্বাগতম। ঝালকাঠি ভ্রমণ হোক আনন্দের সাথে। ঝালকাঠি দর্শনীয় স্থান
পরিচিতি-
ঝালকাঠি পূর্বে বরিশাল জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল । কিন্তু ১ এপ্রিল ১৮৭৫ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার গোড়াপত্তন হয়। এর উত্তর-পূর্বে বরিশাল, দক্ষিণে বরগুনা ও বিষখালী এবং পশ্চিমে লোহাগড়া ও পিরোজপুর জেলা। ঝালকাঠির নামকরণের একাধিক প্রবাদ প্রচলিত আছে। ঝালকাঠির জেলার প্রাচীন নাম মহারাজগঞ্জ। মূলত জালের কাঠি বাজার থেকে জালকাঠি>ঝালকাঠি নামের উৎপত্তি হয়। এই জেলায় ৪টি উপজেলা, ৪টি থানা, ২টি পৌরসভা, ৩২টি ইউনিয়ন, ৪০০টি মৌজা, ৪৪৯টি গ্রাম ও ২টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। এখানে অর্থনীতির প্রধান উৎস শস্য এবং ধান সহ আম, কলা, জলপাই, কাঠাল, তাল, লিচু, নারিকেল, আমড়া, পেয়ারা ইত্যাদি। এই জেলার উল্লেখ্যযোগ্য ব্যক্তিগণের মধ্যে রয়েছে খ্যাতিমান কবি কামিনী রায়।
যেভাবে যাবেন- ঝালকাঠি দর্শনীয় স্থান
আপনি যে এলাকা থেকে ঝালকাঠি আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (ঝালকাঠি) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।
ঝালকাঠি দর্শনীয় স্থান সমূহ-
আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-
কীর্তিপাশার জমিদার বাড়ি-
কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলায় কীর্তিপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত প্রাচীনতম জনপদের একটি নিদর্শন। কালের সাক্ষী কার্তিপাশা জমিদার বাড়ির পুরাকীর্তিটি এখন বিলীনের পথে। ঝালকাঠি সদর থেকে অটো বা মটরবাইক অথবা অন্য যে কোন যাবহাবনের করে কীর্তিপাশা যাওয়া যায়।
সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি-
এ জেলায় অবস্থিত সাধু পুরুষ শেখ শাহাবুদ্দিনের প্রতিষ্ঠিত বাড়ি সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি। সেখানে রয়েছে অনেকগুলো পুকুর, ফুলের বাগান, তিনটি পুরনো কারুকার্যখচিত মুঘল আদলের তৈরি দালান, প্রধান ফটক বা সদর দরজা। দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর গ্রামটি ক্ষণজম্মা এক মহাপুরুষের জন্মের মধ্যে দিয়ে ধন্য হয়ে আছে সাতুরিয়া জমিদার বাড়িটি।
সদর থেকে অল্প দূরত্বে অবস্থিত সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি।
ভাসমান পেয়ারা বাজার-
এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম পেয়ারা বাগান কার্তিপাশা জমিদার বাড়ির (ভাসমান পেয়ারা বাজার) গড়ে উঠেছে তিন জেলা ঝালকাঠি, বরিশাল এবং পিরোজপুরের সিমান্তবর্তী এলাকায়।
সদর জেলা থেকে লঞ্চ করে ভাসমান পেয়ারা বাজার যেতে হয়।
গাবখান সেতু-
বাংলার সুয়েজ খাল খ্যাত গাবখান চ্যানেলের উপর প্রতিষ্ঠিত ৫ম বাংলাদেশের চীন-মৈত্রী সেতুটিই গাবখান সেতু। সন্ধ্যা ও সুগন্ধা নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী বাংলাদেশের একমাত্র কৃত্রিম নৌপথ গানখান চ্যানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কি.মি।
ঝালকাঠি সদর থেকে অটোরিক্সা নিয়ে যাওয়া গাবখান সেতু দেখতে।
সুজাবাদ কেল্লা-
প্রচলিত রয়েছে একরাতের ম্যেধ কেল্লা দুটি নির্মাণ করা হয় যার কারণে এক সময় স্থানীয় বাসিন্দারা সুজাবাদ কেল্লাকে ভূতের গড় নামে ডাকতেন। বর্তমানে সুজাবাদ কেল্লাটি পুরাতন কলেজ নামে অধিক পরিচিত। মোগল শাসনামলের শেষভাগে ঝালকাঠি অঞ্চল মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের লুণ্ঠনের প্রধানক্ষেত্রে পরিণত হয়।
ঝালকাঠি জেলায় এসে স্থানীয় পরিবহনে সুজাবাদ গ্রামে অবস্থিত সুজাবাদ কেল্লায় যাওয়া যায়।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থানঃ
- শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হকের মা সৈয়দুন্নেছার বাবার বাড়ি।
- সুগন্ধা নদী।
যেখানে রাত্রিযাপন-
- ৩০০ টাকার রুম থেকে ভাল মানের রুম ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে ধানসিড়ি রেষ্টহাউজ, ডালিয়ান থান চাইনিজ হোটেল ইত্যাদি ইত্যাদি।
- রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।
যেখানে খাবেন–
- এই শহরের খাবার? ———> এই শহরে বিখ্যাত ফলমূল।
- এই শহরে দু’কদম হাটলেই বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে।
পছন্দের কেনাকাটা–
- এখানে রয়েছে চাদকাঠি মার্কেট, নিউ মার্কেট, সুপার মার্কেট ইত্যাদি।
- এই শহরে কেনকাটা হোক আনন্দের সাথে।
কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
- এই অঞ্চলে যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
- বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
- প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থার য়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।