টাঙ্গাইল যাবো । কোথায় থাকবো । খাবার ব্যবস্থা । টাঙ্গাইল দর্শনীয় স্থান সহ ইত্যাদি

চমচম, টমটম ও শাড়ি, এই তিন লোক ঐতিহ্য নিয়ে গড়ে উঠা ঐতিহ্যবাহী জনপদ টাঙ্গাইল জেলা সম্পর্কে জেনে নিই

পরিচিতি-

মূলত যমুনা নদীর বুকে নতুন জেগে ওঠা চর এলাকার সমষ্টি থেকেই বর্তমান টাঙ্গাইল জেলা । মোগল আমল থেকে এই অঞ্চল আটিয়া পরগণার অংশ হিসেবে পরিচিত। দ্বিতীয় ভূমি জরিপের সময়েও অর্থাৎ ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে টাঙ্গাইলের উল্লেখ পাওয়া যায় না।বর্তমান টাঙ্গাইলের অধিকাংশ অঞ্চল আটিয়া পরগণার অধীনে ছিল। ১৮ ও ১৯শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত আটিয়া নামে পরিচিত অঞ্চলই বর্ধিত হয়ে বর্তমান টাঙ্গাইলের রূপলাভ করেছে। ১৯৪৭ সালে উপ-মহাদেশ বিভক্তের পর ময়মনসিংহ জেলাকে ৩ টি জেলায় ভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল মহকুমা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ১৯তম জেলা হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে।



যেভাবে যাবেন-

আপনি যে এলাকা থেকে টাঙ্গাইল আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (টাঙ্গাইল) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।

টাঙ্গাইল দর্শনীয় স্থান-

আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটাতে এই অঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান।
আকর্ষনীয় টাঙ্গাইল দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-

আতিয়া মসজিদঃ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া মসজিদ হল টাঙ্গাইলের প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য । এই মসজিদ টাঙ্গাইল জেলার সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ। । আদম শাহ্ বাবা কাশ্মিরী নামে বিখ্যাত এক সুফি ধর্মপ্রচারক বাংলার সুলতান আলাউদ্দিন হুসায়েন শাহ কর্তৃক আতিয়ার জায়গিরদার নিযুক্ত হয়েছিলেন । ঐ সময় তাঁর ধর্মীয় কার্য পরিচালনার ব্যয়ভার বহনের জন্য কররানী শাসক সোলাইমান কররানীর কাছ থেকে বিশাল একটি মহাল দান সূত্রে পান ।ধারনা করা হয়, এই দান বা ‘আতা’ থেকে এ অঞ্চলের নাম ‘আতিয়া’ হয়েছে। আতিয়া পরগণার শাসন কর্তা সাঈদ খান পন্নী ১৬০৮ সালে আতিয়া মসজিদ নির্মাণ করেন।এ মসজিদ নির্মাণ করা হয় সুলতানি ও মোগল আমলের স্থাপত্য শিল্পরীতির সমন্বয়ে ।
কিভাবে যাওয়া যায়: আতিয়া মসজিদ এ যাওয়ার জন্য প্রথমে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল শহর এসে, শহর থেকে সিএনজি যোগে আতিয়া মসজিদ যাওয়া যায়।

উপেন্দ্র সরোবরঃ

জানা যায়, জমিদার রায় বাহাদুর একবার জানতে পারলেন ,তার এলাকার অনেকেই সুপেয় পানির অভাবে রাতে বিল থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে। প্রজাদের এই অমানবিক কষ্ট মোচনের লক্ষ্যে জমিদার রায় বাহাদুর ১৩৬৮ সালে মোট ১১ একর জায়গায় সুদৃশ্য এই দিঘি খননকাজ করেন । প্রজাদের সুবিধার্থে দিঘির চারদিকে সুপ্রসস্ত ১২টি ঘাটলা এবং এখানে সারা বছর স্বচ্ছ পানি নিশ্চিত করার জন্যে ছয়টি সুগভীর কূপ খনন করা হয়েছিল। এছাড়া দিঘির চারপাশে লাগানো হয় সুদৃশ্য খেজুর গাছ।
কিভাবে যাওয়া যায়: উপেন্দ্র সরোবরে যাওয়ার জন্য প্রথমে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল শহর এসে, টাংগাইল শহর হতে সিএনজি যোগে নাগরপুর উপেন্দ্র সরোবরে যাওয়া যায়।




পাকুটিয়া জমিদারবাড়ীঃ
বিষ্ণপুরের অধিবাসী রামকৃষ্ণ সাহা মন্ডল নামের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি পাকুটিয়াতে বশত স্থাপন করেন।ঊনবিংশ শতাব্দীর ঠিক শুরুতে ইংরেজদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে তাঁদের জমিদারী শুরু হয়। পাকুটিয়া জমিদারী তিনটি তরফে বিভক্ত ছিল। এই জমিদারবাড়ীর প্রধান তিনটি স্থাপনাই অপূর্ব শিল্প সুষমমন্ডিত। পশ্চাত্য শিল্প সংস্কৃতি সমৃদ্ধ মনের মাধুরী মিশিয়ে স্থাপত্য মূল্যের এক অনন্য সৃষ্টি তাদের এই অট্টালিকা। শতবছর পর এখনও মন্দিরের পূজা মন্ডপের কারুকাজ পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
কিভাবে যাওয়া যায়: টাংগাইল হতে সিএনজি যোগে দেলদুয়ার হয়ে পাকুটিয়া জমিদারবাড়ী।

মহেড়া জমিদারবাড়ীঃ টাঙ্গাইল দর্শনীয় স্থান

১৯৭২ সালে মহেড়া জমিদার বাড়ীটিতে প্রতিষ্ঠিত হয় জোনাল পুলিশ ট্রেনিং স্কুল যা পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে সরকারের পুলিশ বিভাগ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হচ্ছে।
কিভাবে যাওয়া যায়: মহেড়া জমিদার বাড়ীতে যাওয়ার জন্য প্রথমে ঢাকা-টাঙ্গাইল হাইওয়ের পাশে জামুর্কী বাসস্টেশন হতে উত্তর দিকে মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং লেখা সাইনবোর্ডের কাছে নামতে হবে, মহাসড়ক হতে পূর্ব দিকে যে রাস্তা চলে গেছে ঐ রাস্তা ধরেই চললেই সামনে মহেড়া জমিদারবাড়ী।

নাগরপুর চৌধুরী বাড়ী (জমিদার বাড়ি)-

জানা যায় – সুবিদ্ধা-খাঁ-র সূত্র ধরেই চৌধুরী বংশ নাগরপুরে জমিদারী শুরু করেন। যদুনাথ চৌধুরী, প্রায় ৫৪ একর জমির উপর জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন। মোঘল সংস্কৃতি এবং পাশ্চত্য মিশ্রনে এক অপূর্ব নান্দনিক সৌন্দর্যে নির্মিত এই বৈঠকখানা বিল্ডিং এর উপরে ছিল নহবতখানা। জানা যায়, চৌধুরী বাড়ীর রঙ্গমহলের পাশে এক সুদৃশ্য চিড়িয়াখানা ছিল। সেখানে শোভা পেত নানা ধরনের পশু পাখি । দেশ বিভক্তির(১৯৪৭) পর তদানিন্তন সরকার চৌধুরী বাড়ীর সকল সম্পদ অধিগ্রহণ করে। শ্বেত পাথরে গড়া অট্টালিকাটির অভ্যন্তরের পুরো কাজটি বেশ নজর কাড়ে। বর্তমানে চৌধুরী বাড়ীর এই মুল ভবনটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নাগরপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ।

এছাড়া চৌধূরীবাড়ীর অন্যান্য স্থাপনা গুলো হল

  • ঝুলন দালান
  • ঘোড়ার দালান

কিভাবে যাওয়া যায়: টাংগাইল হতে সিএনজি যোগে নাগরপুর চৌধুরী বাড়ী।

অন্যান্য দর্শনীয় স্থান-

  • ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়ী ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ,
  • বনগ্রামের গনকবর,
  • বঙ্গবন্ধু বহুমূখী সেতু,
  • নাগরপুর জমিদার বাড়ী,
  • শহীদ সালাহ্ উদ্দিন সেনানিবাস, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল,
  • বড় কালীবাড়ি,
  • ফালুচাঁদ চীশতি-এর মাজার – সখিপুর উপজেলা;
  • মধুপুর জাতীয় উদ্যান,
  • যমুনা বহুমুখী সেতু,
  • আদম কাশ্মিরী-এর মাজার;
  • মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার,
  • পরীর দালান / হেমনগর জমিদার বাড়ি,
  • খামারপাড়া মসজিদ ও মাজার।

যেখানে রাত্রিযাপন-

  • যমুনা রিসোর্ট, >>> যমুনা ব্রিজ সংলগ্ন রোড, এলেঙ্গা ১৯০০। ফোনঃ 01715-852997.
  • এলেঙ্গা রিসোর্ট, >>> এলেঙ্গা ,কালীহাটি উপজেলা , টাঙ্গাইল। ফোনঃ 01819-410062.
  • হোটেল প্রিন্স, >>> ভিক্টোরিয়া রোড ,টাঙ্গাইল । ফোনঃ 01719-629488.
  • আরো রয়েছে অনলাইনে বুকিং– বুকিং রুম

যেখানে খাবেন-

টাঙ্গাইলে ভ্রমণ এর সময় অবশ্যই পৃথিবী খ্যাত চমচম মিষ্টি স্বাদ নিতে ভুলবেন না। পোড়াবাড়ির চমচম প্রায় ২শ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য,যা টাঙ্গাইলকে ব্যাপক পরিচিত করেছে। ঘি, মাখন, দুগ্ধজাত দই, ক্ষীর, মিষ্টি দ্রব্য তৈরিতে টাঙ্গাইলের সুপ্রাচীন ঐতিহ্য আছে ।

কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?

  • টাঙ্গাইল যে প্রান্তে আসবেন না কেন, কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
  • আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
  • বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
  • প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থার য়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।
  • বাংলাদেশের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহের তথ্য (কাউন্টার লোকেশন ও ফোন নাম্বার, ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং এরিয়ার পরিচিতি, যেখানে থাকবেন এবং খাবেন) পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহের তথ্য (কাউন্টার লোকেশন ও ফোন নাম্বার, ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং এরিয়ার পরিচিতি, যেখানে থাকবেন এবং খাবেন) পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন। 



x