টেকনাফ দর্শনীয় স্থান । কোথায় থাকবো । কোথায় খাবো । টেকনাফ গাইড
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে উপজেলা টেকনাফে আপনাকে আমন্ত্রণ। শাহপরীর দ্বীপ, বাংলাদেশের প্রান্তসীমা এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ প্রান্ত। টেকনাফ দর্শনীয় স্থান
পরিচিতিঃ
চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ একটি উপজেলা। এটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ-পূর্ব কোণায় অবস্থিত। কক্সবাজার জেলাসদর থেকে প্রায় ৮৬ কি.মি দক্ষিণে অবস্থিত। টেকনাফ উপজেলার উত্তরে উখিয়া উপজেলা, পূর্বে নাফ নদ ও মায়ানমার সীমান্ত এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। টেকনাফ উপজেলার পূর্ব প্রান্ত দিয়ে বয়ে গেছে নাফ নদ; এই নাফ নদের থেকেই এই অঞ্চলটির নামকরণ হয়েছে। টেকনাফের বহু পর্যটক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টেকনাফের সমুদ্র সৈকত, নে-টং বা দেবতার পাহাড় মাথিনের কূপ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ সৈন্যদের তৈরি করা বাংকার ইত্যাদি। ১৯৩০ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৬ টি ইউনিয়ন রয়েছে।
রোহিঙ্গা-
রোহিঙ্গা ঐতিহাসিকভাবে আরাকানী ভারতীয়ও বলা হয়ে থাকে। রোহিঙ্গা হলো পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজের একটি রাষ্ট্রবিহীন ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী বা উদ্ভাস্তু বলতে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থী বা উদ্ভাস্তুদের বুঝানো হয়ে থাকে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের হিসেব অনুযায়ী ২৫ আগস্ট ২০১৭ সালে মায়ানমারের সাময়িক বাহিনীর দ্বারা শুরু হওয়া গণহত্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রায় ৬,৫৫,০০০ থেকে ৭,০০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখের মত রোহিঙ্গার অবস্থান রয়েছে বাংলাদেশে। ক্যাম্প- ২৪, ২৫, ২৬, ২৭ সর্বমোট ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার অবস্থান আছে টেকনাফে।
যেভাবে যাবেন-
আপনি যে এলাকা থেকে টেকনাফ আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (গন্তব্যস্থল) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।
টেকনাফ দর্শনীয় স্থান
আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে–
সেন্টমার্টিনঃ
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ যা মূল ভূখন্ডের সর্ব-দক্ষিণে এবং কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কি.মি দূরে ১৭ বর্গ কিলোমিটারের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ। স্থানীয় ভাষায় সেন্টমার্টিনকে নারিকেল জিঞ্জিরা বলেও ডাকা হয়। সেন্টমার্টিন যেতে চাইলে কক্সবাজার থেকে টেকনাফে আসতে হবে। টেকনাফ থেকে জাহাজে অথবা ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়।
শাহপরীর দ্বীপঃ
বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডের সর্ব-দক্ষিণে শাহপরীর দ্বীপ অবস্থিত। এটি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের একটি গ্রাম। টেকনাফ থেকে শাহপরীর দ্বীপের দূরত্ব ১৫ কি.মি। মাত্র ৪০ হাজার জনসংখ্যার এই দ্বীপের মানুষের মাছধরা ও লবণ চাষ হচ্ছে প্রধান পেশা। শাহপরীর দ্বীপে তিনটি সমুদ্র সৈকত রয়েছে। এই দ্বীপ থেকে মায়ানমারের মঙডু প্রদেশ দেখা যায়। আরো দেখা যায় আরকানের পাহাড় সেন্টমার্টিন দ্বীপ।
ছেঁড়া দ্বীপঃ
ছেঁড়া দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব-দক্ষিণের ভূখন্ড। ছেঁড়া দ্বীপ সেন্ট মার্টিন থেকে ৫ কি.মি দক্ষিণে অবস্থিত। স্থানীয় মানুষের কাছে দ্বীপটি “ছেড়াদিয়া” বা “সিরাদিয়া” নামে পরিচিত। সুনীল সাগর, আকাশ আর সূর্যাস্তের মিতালী দেখতে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ছেঁড়া দ্বীপে বেড়াতে আসে। এছাড়া ছেঁড়া দ্বীপে চাঁদের আলোয় যাদুকরী মুগ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তৈঙ্গা চূড়াঃ
টেকনাফে আছে দেশের অন্যতম গেম রিজার্ভ, আর এর ভেতরে আছে নানা রকম বুনো আকর্ষণ। বন্যপ্রাণী, রহস্যময় গুহা এবং আরও রয়েছে ঝর্ণা ও ঝিরিপথ। টেকনাফ গেম রিজার্মে আরও কুঠি বা ভঙ্গিল পাহাড় আর কুঠির আনুমানিক ২০০ ফুট পশ্চিমে প্রবাহিত হয় তৈঙ্গাঝিরি। টেকনাফ থেকে উত্তরে ১৫ কি.মি দূরত্বে দমদমিয়া এলাকায় মুছনী গ্রামে অবস্থিত টেকনাফ গেম রিজার্ভ এর ভেতরেই কুঠি পাহাড় এবং তৈঙ্গা ঝিরি।
কালো রাজার সুড়ঙ্গঃ
কালো রাজার সুড়ঙ্গ রহস্যময় গুহা হিসেবে এর পরিচিতি হয়েছে। সুড়ঙ্গটি দেখার জন্য বাসে করে হেইখং বাজারে যেতে হয়। এরপর পায়ে হেঁটে প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার জন্য কাঁচা রাস্তায় আর ২ কি.মি দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার জন্য কাঁচা রাস্তায় আর ২ কি.মি পথ হাঁটতে হবে। এটি মূলতঃ ঝিরি বা পাহাড়ী নালা পার হয়ে কালো রাজার সুড়ঙ্গে পৌঁছতে হয়।
সাবরাং ট্যুরিজম পার্কঃ
১, ১৬৫ একর জমির উপর তৈরি করা হয়েছে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক। টেকনাফের সাবরাং অবস্থিত এই ট্যুরিজম পার্ক অবস্থিত। টেকনাফ দর্শনীয় স্থান
টেকনাফ সমুদ্র সৈকতঃ
কক্সবাজার হতে সরাসরি বাস যোগে টেকনাফ বাস স্ট্যান্ড। টেকনাফ বাস স্ট্যান্ড হতে রিক্সা অথবা অটোরিক্সা যোগে টেকনাফ সী বীচ যাওয়া যাবে।
মাথিনের কূপঃ
মাথিনের কূপ বাংলাদেশের টেকনাফ শহরে অবস্থিত টেকনাফ পৌরসভার নিকটস্থ থানা চত্ত্বরে এর অবস্থান।
যেখানে রাত্রিযাপনঃ
- ৩০০ টাকার রুম থেকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট অবধি ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে ব্লু মেরিন, সেন্টমার্টিন, লাবিবা বিলাস, নীল দিগন্ত, অবকাশ সেন্টমার্টিন, প্রিন্স হেভেন, হোটেল নে টং, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, সড়ক ও জনপথ পরিদর্শন বাংলো, গণপূর্ত, ফরেস্ট ডাকবাংলো, ইত্যাদি।
- রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।
যেখানে খাবেনঃ
- টেকনাফের খাবার? >>> টেকনাফে দু’কদম হাটলেই বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে।
আপনার পছন্দের কেনাকাটাঃ
টেকনাফে যথেষ্ট শপিং মল রয়েছে। টেকনাফের বার্মিজ মার্কেট গুলো তে পাবেন স্বল্প মূল্যে মায়ানমারের পণ্য, এই পণ্য গুলো ক্রয় করতে পর্যটকরা ভীড় জমায়। টেকনাফ দর্শনীয় স্থান।
কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
- টেকনাফ যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন । প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
- আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
- বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
- এখানে প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।
টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত, সমুদ্র সৈকত ও অন্যান্য পর্যটক স্থান আপনাকে আবারও আমন্ত্রণ।