দিনাজপুর – দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থান – কোথায় থাকবো – কোথায় খাবো

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ জেলা দিনাজপুরে আপনাকে স্বাগতম।

পরিচিতি- দিনাজপুর

উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার মধ্যে বৃহত্তম জেলা দিনাজপুর। এই জেলার উত্তরে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলা, দক্ষিণে জয়পুরহাট জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে রংপুর ও নীলফামারী জেলা । পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাদ্বয় অবস্থিত। এই অঞ্চল ভূতাত্ত্বিকভাবে ভারতীয় প্লেটের অংশ যা আদি জুরাসিক যুগে সৃষ্টি হওয়া গন্ডোয়ানাল্যান্ডের অংশ ছিল। দিনাজপুর একসময় পুন্ড্রবর্ধনের অংশ ছিল। দিনাজপুর সদরের ১১ মাইল দক্ষিণে লক্ষ্মৌতির রাজধানীয় দেবকোটের অবস্থান ছিল । ১৭৮৬ সালে দিনাজপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারে প্রতিষ্ঠাতা।



যেভাবে যাবেন-

আপনি যে এলাকা থেকে দিনাজপুরে আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (দিনাজপুর) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনেযাবো ডট কম) পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি/নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।

দর্শনীয় স্থান সমূহ-

আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটাতে এই জেলায় রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান।

আকর্ষনীয় দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-                 

রামসাগর দীঘি-

রামসাগর দীঘি মানুষের খনন করা বাংলাদেশেল সবচেয়ে বড় দিঘী। যার আয়তন ৪,৩৭,৪৯২ বর্গমিটার এবং গভীরতা প্রায় ১০ মিটার।  এটি দিনাজপুর জেলার তেজপুর গ্রামে অবস্থিত। চিড়িয়াখানা, নানান রকম গাছ-গাছালি ও দিঘীর ঘাটসহ আকর্ষণীয় শিশুপার্ক রয়েছে।  দিনাজপুর থেকে সিএনজি বা অটোরিকশা দিয়ে যাওয়া যায় রাগসাগরে।

কান্তজীর মন্দির-

বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা কান্তজীর মন্দির। এই মন্দিরটি নির্মাণ শুরু করেন প্রাণনাথ রায়। দিনাজপুর থেকে ২০ কি.মি দূরে অবস্থিত এই কান্তজীর মন্দির।

দীপশিখা স্কুল-

এই স্কুলটি স্থানীয় কাঁচামাল, বাঁশ ও কাদামাটি দিয়ে নির্মিত দীপশিখা মেটি স্কুল হিসেবে অধিক পরিচিত। বর্তমানে স্কুলে শিশু শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ দানের পাশাপাশি নাচ, গান, অভিনয়, চিত্রাংকন ও ইংরেজি ভাষা শিখানো হয়। দিনাজপুর জেলা থেকে ২২ কি.মি দূরে বিরল উপজেলার রুদ্রপুরে অবস্থিত দীপশিখা স্কুল মাটির তৈরি একটি ভিন্নধর্মী বিদ্যানিকেতন।

দিনাজপুর রাজবাড়ী-

এই জমিদার বাড়ি ইতিহাস ও ঐশ্বর্যের প্রতীক হিসাবে পরিগণিত হয়ে আসছে।  সর্বশেষ জমিদার জগদীশনাথ ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। এই রাজবাড়িটি কালের সাক্ষী হিসাবে টিকে আছে। দিনাজপুর থেকে রিকশা/অটো রিকশাস/সিএনজি নিয়ে সরাসরি রাজবাড়ীতে যেতে পারবেন।

স্বপ্নপুরী পিকপিক স্পট-

স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট বা বিনোদন কেন্দ্র। এটি দিনাজপুরে অবস্থিত। স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটে রয়েছে কৃত্রিম লেক, পাহাড়, উদ্যান, বৈচিত্র্যপূর্ণ গাছগাছালি এবং ফুলের বাগান, বিভিন্ন প্রতিকৃতি, শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানা, কৃতি পশুপাখি, ইটখলা, নামাজ জায়গা, কুঞ্জ, মাটির কুটির, ডাকবাংলো ইত্যাদি। দিনাজপুর থেকে স্বপ্নপুরীর দূরত্ব ৫২ কি.মি।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-

রংপুর বিভাগে প্রতিষ্ঠিত সর্বপ্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  নাম “হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়”। দিনাজপুর শহর থেকে দিনাজপুর-ঢাকা হাইওয়ের ১০ কি.মি দূরত্বে অবস্থিত।

নয়াবাদ মসজিদ-

এই মসজিদের ছাদে ৩ গম্বুজ আছে এবং মসজিদের চার কোণে অষ্টভুজাকৃতির ৪টি মিনার রয়েছে। নয়াবাদ মসজিদ দিনাজপুর শহর থেকে ২০ কি.মি দূরে কাহারোল উপজেলার নয়াবাদ গ্রামে অবস্থিত। এই মসজিদটি ১.১৫ বিধা জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে।


যেখানে রাত্রিযাপন-

  • ৩০০ টাকার রুম থেকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট অবধি ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে হোটেল পর্যটন মোটেল দিনাজপুর, হোটেল ম্রিগায়া, হোটেল ডায়মন্ড বি, হোটেল ইউনিক রেসিডেন্সিয়াল, হোটেল আল-রসিদ, হোটেল সাহারা, কনিকা হোটেল, হোটেল বসুন্ধরা, হোটেল দিনা  ইত্যাদি হোটেল রয়েছে।
  • রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।

যেখানে খাবেন-

  • দিনাজপুরের খাবার? ———> এই জেলার বিখ্যাত খাদ্য হচ্ছে লিচু, কাটারিভোগ চাল, চিড়া।
  • এই শহরে দু’কদম হাটলেই  বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে।

কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো?  রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?

  • দিনাজপুরে যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন । প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
  • আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
  • বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
  • প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।




বাংলাদেশের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহের তথ্য (কাউন্টার লোকেশন ও ফোন নাম্বার, ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি/নন-এসি) এবং এরিয়ার পরিচিতি, যেখানে থাকবেন এবং খাবেন) পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন। 

x