নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান । কোথায় থাকবেন। কোথায় খাবেন। কিভাবে যাবেন ইত্যাদি।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল নোয়াখালীতে আপনাকে স্বাগতম। নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ হোক আনন্দের সাথে।
পরিচিতি- নোয়াখালী
নোয়াখালীর জেলা শহরের নাম হল মাইজদী। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের বর্তমান নোয়াখালী জেলা এটি “এ” শ্রেণিভুক্ত জেলা। এ জেলার পূর্বে চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলা, উত্তরে কুমিল্লা জেলা, পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর জেলা ও ভোলা জেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। নোয়াখালী জেলার প্রাচীন নাম ছিল ভুলুয়া। নোয়াখালী সদর থানার আদি নাম সুধারাম। নতুন খাল তৈরির ফলে নোয়াখাল থেকে নোয়াখালী নাম নামকরণ করা হয়। এই শহরে ওয়াহিবী আন্দোলন, খিলাফত আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। নোয়াখালী জেলার ৯টি উপজেলা রয়েছে (কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, চাটখিল, নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ, সুবর্ণচর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ি, হাতিয়া)। নোয়াখালী জেলা অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর । আয়ের প্রধান উৎস মৎস্য চাষ। নোয়াখালী জেলার প্রধান নদী মেঘনা এছাড়াও উল্লেখযোগ্য নদীর মধ্যে ডাকাতিয়া ও ছোট ফেনী নদী অন্যতম। নোয়াখালী জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান (টিভি অভিনেতা), আনিসুল হক (রাজনীতিবিদ), আবদুশ শাকুর (একুশে পদক প্রাপ্ত কথা সাহিত্যিক), আবুল কালাম আজাদ (বীর বিক্রম), এটিএম শামসুজ্জামান (অভিনেতা), ওয়াবদুল কাদের (রাজনীতিবিদ), ইত্যাদি।
যেভাবে যাবেন- নোয়াখালী
আপনি যে এলাকা থেকে নোয়াখালী আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (নোয়াখালী) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।
নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান-
আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-
কল্যান্দি জমিদার বাড়ি-
কল্যান্দি জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের নোয়াখালীর জেলার সেনাবাগ উপজেলায় মোহাম্মদপুর গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। এটি রায় চৌধুরী জমিদার বাড়ি হিসেবেও পরিচিত। এই বাড়িটি দুই জমিদার (রামেন্দ্র রায় চৌধুরী ও জমিদার কাঙালি রায়) মিলে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারা প্রজাদের কল্যাণে অনেক জনকল্যাণমূলক কাজ করে গেছেন।
নোয়াখালী সদর থেকে সেনবাগ উপজেলা হয়ে কল্যান্দি গেলে রায় চৌধুরী জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।
নিঝুম দ্বীপ-
বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় অবস্থিত বঙ্গপসাগরের ছোট্ট একটি দ্বীপ নিঝুম দ্বীপ। এই দ্বীপ কয়েকটি চর নিয়ে গঠিত (কামলার চর, বল্লার চর, চর ওসমান ও চর মুরি নামের দ্বীপ ইত্যাদি) । এখানে শীতকালে এখানে সারি, জিরিয়া, লেনজা, পিয়ং, রাঙ্গামুড়ি, চখাচখি, ভূতিহাঁস, রাজহাঁস, কাদাখোঁচা, বাটান, জিরিয়া, লেনজা, গুলিন্দা ইত্যাদি অতিথি পাখির আগমন ঘটে।
নোয়াখালী সদর থেকে চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সি ট্রাক ছাড়ে আর নলচির থেকে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট আসার ফিরতি সী ট্রাক ছাড়ে। (সকাল ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত গাড়ী পাওয়া যায়। )
মুছাপুর ক্লোজার-
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মুছাপুর ইউনিয়নে বঙ্গোপসাগর ও ফেনীর নদীর মোহনায় নির্মিত মুছাপুর ক্লোজার মিনি কক্সবাজার বা মুছাপুর সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচিত। নোয়াখালী শহর থেকে কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাট বাজারে যাবেন তারপর বসুরহাট থেকে সহজেই মুছাপুর ক্লোজার যেতে পারবেন।
গান্ধী আশ্রম-
নোয়াখালী জেলার মাইজদী গান্ধী আশ্রম অবস্থিত। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিবিজড়িত একটি ঐতিহাসিক নির্দশন । নোয়াখালী শহর থেকে মাইজদী কোর্ট থেকে ২৫ কি.মি দূরে সোনামুড়ী উপজেলার জয়াগ বাজারে কাছে অবস্থিত এই গান্ধী আশ্রম।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমি গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর-
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে মোঃ রুহুল আমিন অন্যতম। তার স্মৃতির গ্রন্থাথার ও স্মৃতি জাদুঘর নোয়াখালী জেলায় অবস্থিত। নোয়াখালী জেলা সদর থেকে ২৫ কি.মি দূরে সোনাইমুড়ি উপজেলায় সদরের দেওটি ইউনিয়নের বাগপাচড়া গ্রামে অবস্থিত।
নোয়াখালী ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক-
২৫ একর জমির উপর ড্রিম ওয়ার্ল্ড পাক নির্মাণ করেছে বেসরকারী উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। এই সকল বসয়ী দর্শনার্থীদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। সুইং চেয়ার, প্যাডেল বোট, হেলিকপ্টার, সোয়ান বোট, মেরি গো রাউন্ড, কিডস ট্রেন ফ্যামেলি ট্রেন, ফেরিস হুইল, বাম্পার কার এবং নাগরদৌলা উল্লেখ্যযোগ্য।
নোয়াখালী শহর থেকে ৭ কি.মি দূরে অবিস্থত ড্রিম ওয়ার্ল্ড পাক।
বজরা শাহী মসজিদ-
বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলা বজরা ইউনিয়নে নির্মিত ঐতিহাসিক মসজিদের নাম বজরা শাহী মসজিদ। দিল্লির শাহী জামে মসজিদের নকশার অনুকরণে বজরা শাহী মসজটি নির্মাণ করা হয়েছে। লোকের মুখে প্রচলিত আছে, বজরা শাহী মসজিদে কোন কিছু মানত করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
নোয়াখালী সদর মাইজদী থেকে মসজেরদ দূরত্ব ১৫ কি.মি।
নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-
বাংলাদেশেল নোয়াখালী জেলা থেকে ১২ কি.মি দূরে ভাষা আন্দোলনের সাক্ষী নোয়াখালীর কেন্দ্রীর শহীদ মিনার অবস্থিত।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থানঃ
- অরুণ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়
- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান
- নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যান,
- নোয়াখালী জিলা স্কুল,
- ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল,
- স্বর্ণ দীপ, ইত্যাদি।
যেখানে রাত্রিযাপন-
- ৩০০ টাকার রুম থেকে বিলাস বহুল রুম ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে রেস্ট হোটেল ভ্যালেনটাইনো (মসজিদ মোড়, মাইজদী), ডাক বাংলো জেলা পরিষদ, রেস্ট হাউজ, রেস্ট হাউজ এলজিইডি, রেস্ট হাউস বন বিভাগ, গেস্ট হাউজ আল-আমিন, হোটেল লিটন, হোটেল নিজাম, হোটেল রাফসান, হোটেল আর-ফারহান, হোটেল থ্রী স্টার আবাসিক, হোটেল সুগন্ধা ইন্ট্যান্যাশনাল ইত্যাদি ইত্যাদি।
- রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।
যেখানে খাবেন–
- নোয়াখালী-এর খাবার? ———> এই শহরে বিখ্যাত খাবার মাছ। যে খাবার এখানে বেশি জনপ্রিয় নানা ধরণের তাজা মাছ, শুটকি মাছ ইত্যাদি।
- এই শহরে দু’কদম হাটলেই বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে।
পছন্দের কেনাকাটা–
- নোয়াখালী জনপ্রিয় শপিংমলসমূহ নোয়াখালী সুপার মার্কেট, নোয়াখালী নিউ মার্কেট, করমুল্যা বাজার মার্কেট ইত্যাদি।
- এই শহরে কেনকাটা হোক আনন্দের সাথে।
কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
- নোয়াখালী যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
- বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
- প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থার য়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।