পটুয়াখালী যাবো । কোথায় থাকবো । কোথায় খাবো । দর্শনীয় স্থান সমূহ । ইত্যাদি

বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি “সাগর কন্যা”, মেঘনা নদীর অববাহিকায় পললভূমি ও  চরাঞ্চল দ্বারা গঠিত শহরে আপনাকে স্বাগতম।

পরিচিতি

বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের একটি জেলা পটুয়াখালী। এর উত্তরে বরিশাল, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ভোলা এবং পশ্চিমে বরগুনা জেলা। এই শহর মেঘনা নদীর পললভূমি এবং ছোট চরাঞ্চল নিয়ে এই শহর গঠিত। ৮টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা, ৯টি থানা ও ৭৬টি ইউনিয়ন নিয়ে এই জেলা গঠিত। পটুয়াখালী জেলায় অসংখ্য নদী রয়েছে তন্মধ্যে লোহালিয়া, লাউকাঠী, পায়রা, লেবুখালী, আন্ধারমানিক, আগুনমুখা, বুড়া, গৌরাঙ্গ, তেঁতুলিয়া ইত্যাদি। পটুয়াখালী শহরের বয়স প্রায় দেড়’শ বছর। মৎস্য সম্পদ, বনভূমি, শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্য (কুটির শিল্প, মৃৎশিল্প, পাটশিল্প, বিড়িশিল্প, চাল ও ডালের ব্যবসা) দিয়ে পটুয়াখালী অর্থ ব্যবস্থা চলে। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব, চিত্তাকর্ষক স্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিয়ে গঠিত এই জেলা।

যেভাবে যাবেন-

আপনি যে এলাকা থেকে পটুয়াখালী আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (গন্তব্যস্থল) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।

দর্শনীয় স্থান-

আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটাতে এই জেলায় রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান।

আকর্ষনীয়  দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-

লেবুর চর-

লেবুর চর পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা সৈকত থেকে ৫ কি.মি পূর্বে অবস্থিত। স্থানীয়দের কাছে লেবুর চর নেম্বুর চর হিসেবে পরিচিত। লেবুর চরের শেষ দিকে থেকে সুন্দরবনের সবুজ গাছের সারি দেখা যায়।

মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ-

মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ পটুয়াখালী শহর ২০ কি.মি দূরে অবিস্থত। এই মসজিদ মির্জাগঞ্জ উপজেলায় প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যশিল্পের এক অন্যতম নির্দশন। প্রায় ৫শ বছর পূর্বে স্থাপিত এই শাহী মসজিদটি সুলতানি আমলের মুসলিম স্থাপন্য ও ঐতিহ্যের গৌরবময় ইতিহাস সাক্ষী।

সীমা বৌদ্ধ মন্দির-

কুয়াকাটা সৈকত থেকে প্রায় ৮ কি.মি দূরে অবস্থিত সীমা বৌদ্ধ মন্দির। প্রাচীন কুয়ার সামনে ঐতিহ্যবাহী সীমা বৌদ্ধ মন্দির অবস্থিত।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত-

কুয়া-কাটা সমুদ্র সৈকতরে অবস্থান পটুয়াখালী জেলার কলাপড়া থানার লতাচাপলি ইউনিয়নে। প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এখানে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যায়। এই বৈশিষ্ট্য কুয়াকাটাকে সকল সমুদ্র সৈকত থেকে অনন্য করেছে। প্রায় সারা বছর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখা যায়। সৈকতে চাইলে মটর সাইকেল ও ঘোড়া ভাড়া করতে পারেন। ভাড়ার টাকার পরিমাণ সাধারণত দূরত্ব ও সময়ের উপর নির্ভর করে। এছাড়া কুয়াকাটার কাছেই কয়েকটি চর রয়েছে।

মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির-

কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৮ কি.মি দূরে রাখাইনদের আরেকটি গ্রাম মিশ্রিপাড়ায় বড় একটি বৌদ্ধ মন্দির আছে। জনশ্রুতি আছে এ মন্দিরের ভেতরে উপমহাদেশেরর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। চর বিজয়- পটুয়াখালীর কুয়াকাটার পূর্বে গঙ্গামতী জঙ্গলের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে প্রায় ৪০ কি.মি দূরে অবস্থিত। প্রায় ৫ হাজার একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে নান্দনিক সৌন্দর্যে্যর চর বিজয় দ্বীপ।

কুয়াকাটার কুয়া-

কুয়াকাটার নামকরণের পেছনে যে ইতিহাস আছে সেই ইতিহাসের সাক্ষী কুয়াটি এখনও আছে। এই কুয়াটি দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে রাখাইনদের বাসস্থল কেরাণিপাড়ায়। এপাড়ায় প্রবেশ করতেই প্রাচীন এ কুয়া দেখতে পারেন।

পানির জাদুঘর-

পটুয়াখালী জেলার কলাপড়ায় কুয়াকাটা-ঢাকা সড়কের পাশে একটি দ্বিতল ভবনে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পানি জাদুঘর যাত্র শুরু করে।

কেরানিপাড়া-

সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে গেলেই রাখাইনদের আবাসস্থল কেরানিপাড়া । রাখাইন নারীরা কাপড় বুণনে বেশ দক্ষ এবং তাদের তৈরি শীতের চাদর অনেক আকর্ষণীয়।

সোনারপর-

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা থেকে সোনারচরের দূরত্ব ৮০ কি.মি।

ফাতরার বন-

সমুদ্র সৈকতের পশ্চিমে রয়েছে নদীর অন্য পাড় থেকে ফাতরার বন শুরু। এ বনের রয়েছে সুন্দরবনের প্রায় সকল বৈশিষ্ট্য। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হলে আপনাকে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করতে হবে।

শুঁটকি পল্লী-

জেলে পল্লীর অবস্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে। এখানে মূলত নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শুঁটকি তৈরির মৌসুম চলে। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে সৈকতের পাশেই শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। চাইলে জেলেদের এই কর্মব্যস্ততা দেখে সময় কাটাতে পারেন। আর কম দামে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের পছন্দের শুঁটকি।

যেখানে রাত্রিযাপন-

৩০০ টাকার রুম থেকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট অবধি ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে হোটেল বনানী প্যালেস, হোটেল কুয়াকাটা ইন, হোটেল নিলাঞ্জনা, কুয়াকাটাগেস্ট হাউজ। হোটেল স্কাই প্যালেস, হোটেল মোহনা ইন্টারন্যাশনাল লিঃ, সাগর কন্যা রিসোর্ট লিঃ  ইত্যাদি হোটেল রয়েছে।

রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।

যেখানে খাবেন-

  • পটুয়াখালী খাবার? >>> পটুয়াখালীর উৎপাদিত ফলসমূহ- আম, তরমুজ, কাঁঠাল, পেয়ারা, জাম, পেঁপে, কলা, লিচু, লেবু, আনারস, বাদাম, নারিকেল, কমলালেবু ইত্যাদি। এই খাবার  হোটেলগুলো নিজস্ব রেস্টুরেন্টে তাদের অতিথিদের খাবার  ব্যবস্থা রাখা থাকে। এখানে ধরণের মাছের রোস্ট পাবেন কুয়াকাটার বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে।
  • শহরে দু’কদম হাটলেই  বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে।

কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো?  রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?

  • যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন । প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
  • আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
  • বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে।
  • প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।

পটুয়াখালী জেলায়  আপনাকে আবারও আমন্ত্রণ।

x