পিরোজপুরের ঐতিহাসিক স্থান । রাত্রি যাপন । খাবার ব্যবস্থা । ভ্রমণ গাইড ইত্যাদি
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত পিরোজপুর জেলায় আপনাকে স্বাগতম। পিরোজপুর ভ্রমণ হোক আনন্দের সাথে।
পরিচিতি-
পিরোজপুর নামকরণ নিয়ে একাধিক কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। তবে সবগুলো কিংবদন্তি ফিরোজ শাহ নামকে ঘিরে আবর্তিত। কথিত হয়, শাহ্ সুজার পুত্র ফিরোজ শাহ আলোচ্য এলাকায় মৃত্যুবরণ করতে তাকে এখানকার পুরনো মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। ফিরোজ শাহ এর স্মৃতি রক্ষার্থে এলাকাটির নাম রাখা হয় পিরোজপুর। জেলায় রয়েছে ৭টি উপজেলা, ৭টি থানা, ৪টি পৌরসভা, ৫৪টি ইউনিয়ন ও ৩টি সংসদীয় আসন। বর্তমানে এই জেলা বঙ্গোপসাগরেরর ঔরসজাত জোয়ার-ভাটার পলিরেণুতে গড়া একটি পলল ভূ-ভাগ। এই জেলায় মোগলদের শুল্ক ঘাঁট ও ব্যবসা কেন্দ্র যেখানে মোগলরা লবণ ব্যবসা চালাতেন ও নৌবহনের জন্য উন্নতমানের কাঠ ও নৌযান তৈরির কারিগর যেত সেলিমাবাদ থেকে। পিরোজপুরের অর্থনীতির প্রধান উৎস মাছ ব্যবসা, শুঁটকি ইত্যাদি। বিখ্যাত ব্যক্তিগণের মধ্যে রয়েছে খান বাহাদুর হাশেম আলী খা, আইয়ুব আলী, কবি আহসান হাবীব, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ইত্যাদি।
যেভাবে যাবেন-
আপনি যে এলাকা থেকে পিরোজপুর আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (পিরোজপুর) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।
দর্শনীয় স্থান সমূহ-
আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-
রায়েরকাঠী জমিদার বাড়ি-
এই জেলায় অন্যতম একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা রায়েরকাঠী জমিদার বাড়ি। এখানে রয়েছে ১৬৫৮ সালে রায়েরকাঠী জমিদার বাড়িতে কালিমন্দির নির্মাণ করা হয়, যেখানে প্রায় ৫০ মন ওজনের একটি শিব লিঙ্গ স্থাপন করা হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থেকে রিক্সা নিয়ে ২৫/৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে রায়েরকাঠী জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।
মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ-
এই জেলায় অবস্থিত মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ এটি কারুকার্যমন্ডিত মমিন মসজিদ অন্যতম এক স্থাপত্য নিদর্শন। মসজিদের কাঠের দেয়ালে অপূর্ব নান্দ্যনিকতায় ইসলামিক সংস্কৃতি, ক্যালিগ্রাফি, বিভিন্ন ফুল, পাতা ও ফলের আকর্ষণীয় নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থেকে ৩০ টাকা ভাড়া রিক্সা ভাড়া যাওয়া যায় মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদে।
পারেড়হাট জমিদার বাড়ি-
এই জেলায় অবস্থিত পারেড়হাট জমিদার বাড়ি।
সদর থেকে মাত্র ১৫ টাকা ভাড়া দিয়ে যাওয়া যায় জমিদার বাড়ি।
কবি আহসান এর বাড়ি-
পিরোজপুরে অবস্থিত কবি আহসান এর বাড়ি।
পিরোজপুর সদর থেকে বাসে করে ৪০/৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে যাওয়া যায় কবি আহসান এর বাড়ি।
হরিণপালা রিভার ভিউ ইকোপার্ক-
পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় তেলিখালী ইউনিয়নে কঁচা নদীর তীরে ৬ একর জমির উপর কৃত্রিমভাবে গড়ে তুলেছে হরিণপালা রিভার ভিউ ইকোপার্ক। যেখানে রয়েছে নদীর ঢেউ, কাশবন, পাখির কলকাকলীতে মুখর চমৎকার পরিবেশ এবং ওয়াচ টাওয়ার, পশুপাখির ভাস্কর্য, ঘোড়ার গাড়ি, টয় ট্রেন ইত্যাদি।
পিরোজপুর সদর থেকে মঠবাড়িয়াগামী গাড়ি করে তুষখালী নামক স্থানে নেমে রিকশা বা মোটরসাইকেল এবং অটো রিকশার মত স্থানীয় পরিবহণে চরে হরিণপালা রিভার ভিউ ইকোপার্ক যেতে পারবেন।
ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক-
পিরোজপুর জেলায় অবস্থিত একটি পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক। যেখানে রয়েছে নানা প্রজাতির অসংখ্য গাছপালা ও ফুলের বাগান।
ভান্ডারিয়া উপজেলা থেকে ১৫/২০ টাকা রিক্সা ভাড়ায় যাওয়া যায় ভাণ্ডারিয়া শিশু পার্ক।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থানঃ
- ডিসি পার্ক।
- হুলারহাট নদী বন্দর।
- কদমতলা জর্জ হাই স্কুল।
- সাপলেজা কুঠি বাড়ি।
- সোনাখালী জমিদার বাড়ি।
যেখানে রাত্রিযাপন-
- ৩০০ টাকার রুম থেকে ভাল মানের রুম ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে হোটেল রিল্যাক্স , হোটেল রজনী, হোটেল অবকাশ, হোটেল ডালাস, হোটেল আল গালিভ, হোটেল সিনথিয়া, হোটেল আল মদীনা, হোটেল শাহ নেওয়াজ ইত্যাদি ইত্যাদি।
- রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।
যেখানে খাবেন–
- এই শহরের এর খাবার? ———> এই শহরে বিখ্যাত মাছ।
- এছাড়াও রয়েছে বিখ্যাত খাবার চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, আল্লান, বিসকি, তালের মোরব্বা, শিরনি, নারিকেলের সুরুয়া, চালের রুটি, মাছ ও মিষ্টি।
- এই শহরে দু’কদম হাটলেই বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে।
পছন্দের কেনাকাটা–
- রাব্বি নিউ মার্কেট, পিরোজপুর ভেজিটেবল মার্কেট, পিরোজপুর ফিশ মার্কেট ইত্যাদি।
- এই শহরে কেনকাটা হোক আনন্দের সাথে।
কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
- এই শহরের যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
- বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
- প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থার য়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।