ফরিদপুর যাবো । কি কি দেখবো । কোথায় খাবো । কোথায় রাত্রি যাপন সহ ইত্যাদি
ঐতিহ্যবাহী ও সুপ্রাচীন অঞ্চল ফরিদপুরে আপনাকে স্বাগতম। এক নজরে পল্লী কবি জসিম উদ্দীনের জন্মভুমি ফরিদপুর সম্পর্কে জেনে নিই ।
পরিচিতি-
বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের জেলা ফরিদপুর প্রতিষ্টিত হয় ১৭৮৬ সালে । প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে ফরিদপুর জেলার নামকরণ করা হয় । ১৮০৭ সালে ঢাকার জালালপুর হতে বিভক্ত হয়ে এটি ফরিদপুর জেলা নামে অভিহিত হয় । ঢাকা থেকে ফরিদপুরের দূরুত্ব ১৫৫ কিলোমিটার । হাজী শরিয়ত উল্লাহ ফরায়েজি আন্দোলনের শুরু তৎকালীন ফরিদপুরের মাদারিপুর থেকেই । এই ফরিদপুরে শরীয়তুল্লাহের পুত্র দুদু মিয়ার নেতৃত্বে নীলকর-বিরোধী আন্দোলন হয়। জেলার প্রধান নীল কুঠিটি ছিলো আলফাডাঙা উপজেলার মীরগঞ্জে.
যেভাবে যাবেন-
আপনি যে এলাকা থেকে ফরিদপুর আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (ফরিদপুর ) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।
ফরিদপুর দর্শনীয় স্থান-
আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটাতে এই অঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান।
আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-
পল্লী কবি জসীম উদ্দীন এর বাড়ী ও সমাধিঃ
পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের বাড়ি ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের কুমার নদীর পাশেই । কবির বাড়িতে রয়েছে পুরনো চারটি টিনের ঘর । তাঁর সৃষ্টিকর্মগুলো বাড়ির প্রাঙ্গনে প্রদর্শন করা আছে ।কবির ব্যবহৃত আসবাব এবং বেশ কিছু জিনিসপত্র এখনো সেই বাড়িতে রাখা আছে । কবি ১৯৭৬ সালের ১৪ ই মার্চ থেকে বাড়ির উত্তরে রাস্তার ঠিক পাশেই ডালিম গাছের নিচে চিরশায়িত আছেন । কুমার নদীর পাড়ে রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য বসার স্থান ।
সাতৈর মসজিদ, বোয়ালমারীঃ
৯ গম্বুজ বিশিষ্ট সাতৈর মসজিদটি সুলতানি আমলের , এটি ফরিদপুর জেলা থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে বোয়লমারি উপজেলার সাতৈর গ্রামে অবস্থিত । অনুমান করা হয় ,৭০০ বছর আগের আউলিয়া হযরত শাহ সুফি শায়েফ ছতুর (রাঃ) এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক ষোল শতকের দিকে আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ এই মসজিদ টি নির্মাণ করেন ।এই মসজিদটিতে রয়েছে ৯ টি কন্দাকৃতির গম্বুজ , ৪ টি স্তম্ভ, দেয়াল সংলগ্ন ১২ টি পিলার, এবং পশ্চিমদিকে বহু ধাপ বিশিষ্ট খিলানযুক্ত ৩ টি মেহরাব ।
মথুরাপুরের দেউল, মধুখালীঃ
মথুরাপুর দেউল একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন । এই মঠটি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে অবস্থিত । প্রায় ৮০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এই মঠটি ১২ কোণ বিশিষ্ট শৈল্পিক কারুকার্যমন্ডিত । মঠটিতে প্রবেশের জন্য রয়েছে দুইটি দরজা । সমগ্র দেউলজুড়ে রয়েছে শিলাখন্ডের ছাপচিত্র এবং এর পাশাপাশা এতে মাটির ফলকে তৈরি ছোট ছোট মূর্তির ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় । ২০১৪ সালে মথুরাপুর দেউলটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কতৃক জাতীয় পুরাকীর্তি স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
কানাইপুর জমিদার বাড়িঃ
ফরিদপুর জেলার কানাইপুরের শিকদার বংশ ফরিদপুরের বিখ্যাত জমিদারদের মধ্যে অন্যতম। অনুমান করা হয় ,প্রায় ৪০০ বছর আগে শিকদার বংশের জমিদার, কুমার নদীর পাড়ে বসতি স্থাপনের জন্য জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন, যা কানাইপুর জমিদার বাড়ি হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠে, তবে এই জেলার স্থানীয় বাসিন্দারা একে শিকদার বাড়ি হিসেবেই চিনেন। জানা যায়, শিকাদার বংশের সিকদার ভবতারিনী জমিদার হিসেবে বেশ সুনাম ও সম্পদ অর্জন করেন। ভবতারিনীর একমাত্র পুত্র সতীশ চন্দ্র শিকদাররের দুই পুত্র সুরেন্দ্র নাথ শিকদার এবং নিরদবরন শিকদারের মধ্যে জমিদারি বন্টন করে দেয়া হয়। সতীশ চন্দ্র শিকদাররের বড় সন্তান হিসেবে সুরেন্দ্র নাথ জমিদারীর সিংহভাগ অংশের অধিকার লাভ করেন। পরবর্তিতে সুরেন্দ্র নাথের মৃত্যুর পর তার পুত্রদের কলকাতায় স্থানান্তর করা হয় । অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে সরকার তাদের জমিদারি বাজেয়াপ্ত করে। ১৮১৮ সালে এই শিকাদার বংশের জমিদারদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে হাজী শরিয়তুল্লাহর নেতৃত্বে ফরায়েজি আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। যা পরবর্তীতে শরিয়তুল্লাহর পুত্র দুদু মিয়া ফরায়েজি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
পাতরাইল মসজিদ, ভাঙ্গাঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা এই পাতরাইল মসজিদ। নান্দ্নিক কারুকার্যময় প্রাচীন মসজিদটি মজলিশ আউলিয়া মসজিদ নামেও বেশ সুপরিচিত। ১০ গম্বুজ বিশিষ্ট আয়তাকার পাতরাইল মসজিদের সাথে রাজশাহীর বাঘা মসজিদের স্থাপত্য শৈলীর মিল লক্ষ্যণীয় । এই মসজিদের পূর্বদিকে ৫ টি খিলানযুক্ত প্রবেশ পথ রয়েছে , দক্ষিণ এবং উত্তর দিকে মসজিদে প্রবেশের জন্য আরো দুটি দরজা রয়েছে। মসজিদটির কাছেই বিখ্যাত সুফি সাধক মজলিশ আবদুল্লাহ খান আউলিয়ার মাজার, মাদ্রাসা এবং দুইটি বিশাল দীঘি রয়েছে। ধারণা করা হয় ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান গিয়াসউদ্দীন আজম শাহের শাসনকালে বিখ্যাত সুফি দরবেশ আবদুল্লাহ খান আউলিয়া এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে এসে মসজিদটি নির্মাণ করেন। আর তাঁর নামানুসারেই এটি মজলিশ আউলিয়া মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। পাতরাইল মসজিদ বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান-
- নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউট,
- হযরত শাহ্ ফরিদ মসজিদ,
- জগদ্বন্ধু সুন্দর এর আশ্রম,
- গৌর গোপাল আঙ্গিনা, গোয়ালচামট,
- আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, সদরপুর,
- বাইশ রশি জমিদার বাড়ী, সদরপুর ।
যেখানে রাত্রিযাপন-
- হোটেল র্যাফেল ইনস, গোয়ালচামট, ফরিদপুর – ফোন নং-০৬৩১-৬১১০৬ ।
- হোটেল লাক্সারী, গোয়ালচামট, ফরিদপুর – ফোন নং- ০৬৩১-৬২৬২৩ ।
- হোটেল পদ্মা, মুজিব সড়ক, ফরিদপুর -ফোন নং- ০৬৩১-৬২৬৮৫ ।
- হোটেল পার্ক প্যালেস, মুজিব সড়ক, ফরিদপুর,-ফোন নং- ০১৫৫৬৩২৭০৬৭ ।
- হোটেল শ্যামলী, মুজিব সড়ক, ফরিদপুর,-ফোন নং- ০৬৩১-৬৪৫৩৮ ।
যেখানে খাবেন-
- ফরিদপুরের ভাঙ্গা শহরে >>> “ অনিল দাসের মিষ্টির” সুখ্যাতি অনেক। এই দোকানে রাজভোগ, রসগোল্লা, ক্ষিরের চমচম, ল্যাংচা, ছানা, চিনির সন্দেশ, দই, জিলাপি, দানাদার, আমিরতি, রসমালাই ইত্যাদি পাওয়া যায়। অনিল দাসের দোকানের রাজভোগ বেশ নামকরা, আশেপাশের সকল শহর গ্রাম থেকে কিনতে মানুষ আসে। এই অঞ্চলে প্রচলিত যে, অনিল দাসের মিস্টি ছাড়া বিয়ের অনুষ্ঠান অসম্পূর্ন। সুতরাং মিষ্টি যাদের পছন্দ তারা অবশ্যই এই রাজভোগের স্বাদ পেতে ঘুরে আসতে পারেন অনিল দাসের মিষ্টির দোকান থেকে।
- ফরিদপুরের খেজুরের গুড় বেশ বিখ্যাত। স্থানীয় বাজার গুলোতে এই সুবিখ্যাত খেজুরের গুড় পাওয়া যায় ।
কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
- ফরিদপুর যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
- আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
- বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
- প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থার য়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।
ঐতিহ্যবাহী ও সুপ্রাচীন অঞ্চল ফরিদপুরে আপনাকে স্বাগতম।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহের তথ্য (কাউন্টার লোকেশন ও ফোন নাম্বার, ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং এরিয়ার পরিচিতি, যেখানে থাকবেন এবং খাবেন) পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন।