বরিশাল যাবো । কোথায় থাকবো । কোথায় খাবো । বরিশাল দর্শনীয় স্থান । ইত্যাদি
“আইতে শাল যাইতে শাল তার নাম বরিশাল” বরিশাল শহরে আপনাকে আমন্ত্রণ। বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের মধ্যে একটি বিভাগ। এটি দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অবস্থিত। প্রাচ্যের ভেনিস তথা বর্তমানের বরিশাল শহর।
পরিচিতিঃ
বরিশাল বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর শহর। কীর্তনখোলা নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই শহরের প্রাচীন নাম চন্দ্রদ্বীপ। দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের একটি মূল উৎস এই বরিশাল। দেশের প্রাচীন ও ২য় বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীবন্দর রয়েছে। বরিশালে প্রচলিত একটি ১২ নদী ১৩ খাল তারই নাম বরিশাল। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। জালের মত ছেঁয়ে আছে পুরা দেশকে। বরিশালে রয়েছে উল্লেখ্য নদীসমূহ- কীর্তনখোলা, মেঘলা, ধানসিঁড়ি ইত্যাদি। বরিশাল ১৪টি থানা রয়েছে, ১০টি উপজেলা রয়েছে। সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় হাজার দু-এক।
যেভাবে যাবেন-
আপনি যে এলাকা থেকে বরিশাল আসতে চান। সে এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (গন্তব্য স্থল) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।
দর্শনীয় স্থান-
আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটাতে এখানে রয়েছে অনেক প্রাচীন ও নৈস্বর্গিক নিদর্শন।
আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-
শংকর মঠঃ
বরিশাল শহর নতুন বাজার এলাকায় শংকর মঠের অবস্থান। এটি স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী শ্রী শ্রী শংকর মঠ নামের এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন ১৯১২ সালে।
বিবির পুকুরঃ
বরিশাল শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত এক ঐতিহ্যবাহী জলাশয়ের নাম বিবির পুকুর। বরিশালে লঞ্চ ঘাট বা বাস স্ট্যান্ড পৌঁছে রিকশা দিয়ে নগরীর সদর রোডের পূর্ব পাশে অবস্থিত বিবির পুকুর দেখতে যেতে পারবেন।
মিয়াবাড়ি জামে মসজিদঃ
বরিশাল শহরের কড়াপুরে মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ। এটি বরিশাল জেলার সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৮ শতাব্দীতে এই সমজিদটি নির্মাণ করেন। বরিশাল শহরের হাতেম আলী কলেজ সংলগ্ন চৌমাথা থেকে প্রায় ৯ কি.মি দূরত্বে অবস্থিত এই মিয়াবাড়ি মসজিদ।
লাকুটিয়া জমিদার বাড়িঃ
বরিশাল লাকুটিয়া গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। লাখুটিয়া জিমদা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৬ কিংবা ১৭ শতাব্দীতে। বসবাসের জন্য দ্বিতল বিশিষ্ট একটি প্রাসাদ রয়েচে। এছাড়া একটি মঠ, দিঘী ও মাঠ রয়েছে।
ভাসমান পেয়ারা বাজারঃ
বরিশাল শহরের কুড়িয়ানা বাজারের অবস্থিত এই জুলাই, আগস্ট, পেয়ারার মৌসুম হলেও মাঝে মাঝে সেপ্টম্বরে পর্যন্ত বাজার চলে। সকাল ১১টা অবধি এই বাজারে সমাগম বেশি থাকে। পানিতে ভেসে ভেসে বাজার করতে হয়।
শাপলা গ্রাম, সাতলাঃ
বরিশাল শহরের শাপলা গ্রাম সাতলা যেন িএক শাপলার রাজ্য। ১০ হাজার একর জলাভূমিতে শাপলার চাষ করা হয়। শাপলা গ্রামের প্রায় ৭০% অধিবাসীই শাপলা চাষ ও শাপলা বিপণনের সাথে যুক্ত থাকেন।
কলসকাঠী জমিদার বাড়িঃ
বাকেরগঞ্জ থেকে ৩ কি.মি দূরত্ব কলসকাঠী জমিদার বাড়ি। বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার অবস্থিত। কলসকাঠী একটি প্রাচীন জনপদ। বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদরের সাহেবগঞ্জ খেয়া পার হয়ে মোটর সাইকেল রিকশা বা ভ্যান যোগে কলসকাঠী বাজারে আগে জমিদার বাড়িটির অবস্থান।
কসবা সমজিদ গৌরনদী
বরিশাল শহরের কসবা মসজিটি গৌরনদী উপজেলায় কসবা গ্রামে অবস্থিত। বরিশালের ঐতিহ্য মসজিদগুলো মধ্যেও এটি। টরকী বন্দর বাস স্ট্যান্ড নেমে হেটে বা রিক্সায় যাওয়া যায় কসবা মসজিদ গৌরনদীতে।
হযরত মল্লিক দূত কুমার শাহ (রাঃ) এর মাজারঃ
বরিশাল শহরের টরকী বন্দর বাস স্ট্যান্ড নেমে হেটে যাওয়া যায় হযরত মল্লিক দূত কুমার শাহ (রাঃ) এর মাজারে। এই দূত মাজার মল্লিক পীর সাহেব (রাঃ) এর।
উলানীয়া জমিদার বাড়িঃ
বরিশাল শহরের উলানিয়া গ্রামে অবস্থিত এক চৌধুরী বাড়ি যা জমিদার বাড়ি হিসেবে পরিচিত। এটি ১৭ শতাব্দীর ঐতিহ্যবাড়ী জমিদার বাড়ি।
চরামদ্দী মুঙ্গাখাঁন জামে মসজিদঃ
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ নতুন তৈরীকৃত ভোলার রাস্তা হয়ে যেহে হয় এই চরামদ্দী মুঙ্গাখাঁন জামে মসজিদে। মসজিদটি মুঘল স্থাপত্য নিদর্শনে তৈরি। মুঙ্গা খাঁ নামীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ী একজন দরবেশের অনুপ্রেরণায় মসজিদটি নির্মাণ তৈরি করেন।
চাঁদশী ঈশ্বর চঁন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ
বরিশাল জেলার চাঁদশী ঈশ্বর চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবস্থিত।
সফিপুর ইউনিয়নের হিজল তলার বিলঃ
বরিশাল জেলার সফিপুর নামতে হবে। মুলাদী থেকে দূরত্ব ৩৫ কি.মি দূরত্ব হিজল তলার বিল।
অক্সফোর্ড মিশন বিদ্যালয়ঃ
বরিশাল শহরের বগুড়াগামী রোডে অবস্থিত এই অক্সফোর্ড মিশন চার্চ। বরিশাল শহর থেকে ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে যেতে অক্সফোর্ড মিশন এলাকায়। সিএনজি, অটোরিক্সা ও রিক্সা যোগে যাতায়াত করা যায়।
গুঠিয়া মসজিদঃ
বরিশাল-বানারীপাড়া সড়ক ধরে গেলেই উজিরপুর উপজেলা। সড়কের পাশে গুঠিয়ার চাংগুরিয়া গ্রাম। এর দক্ষিণে বৃহৎ মসজিদ।
দুর্গাসাগারঃ
বরিশাল শহর হতে ১২ কি.মি দূরতে অবস্থিত এই দুর্গাসাগর দিঘী।
কীর্তনখোলা নদীঃ
কীর্তনখোলা নদীর তীরে বরিশাল নৌ বন্দর অবস্থিত, যা বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম নদী বন্দর।
যেখানে রাত্রিযাপনঃ
- ৫০০ টাকার রুম থেকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট অবধি ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে হোটেল গ্রান্ড পার্ক (0431-71508), হোটেল সেডোনা (01705293878), হোটেল এ্যাথেনা ইন্টারন্যাশনাল (01712261633), হোটেল রোদেলা (01711-333081), হোটেল আল জাজিরা (01740880825), হোটেল গ্রান্ট প্লাজা (01917-450088), হোটেল হক ইন্টারন্যাশনাল (01792151191) ইত্যাদি হোটেল রয়েছে।
- রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।
যেখানে খাবেনঃ
- বরিশালের খাবার? >>> সদর গার্লসের সামনের নাজেমের বিরিয়ানী ও ফিরনী, বড় বাজারের আলতাফ হোটেলের খাবার, জিলা স্কুল মোড়ের তেতুলতলা টংয়ের খাবার, গৌরনদীর শচীন ঘোষের মিষ্টি, বটতলার শশী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টি, নতুন বাজারের নিতাইয়ের মিষ্টি, বিএম কলেজ রোডের অপূর্বর চা, কালিবাড়ী রোডের সুভাষের পটল চপ, লেচু শাহ মাজারের সামনে দই ঘরের দই। এছাড়া মাখন, ঘোল, দধি, মোটা চালের মুড়ি, চিড়া মিক্স, গুঠিয়ার সন্দেশ, বড় বাজারের বলাকা হোটেলের আলুর চপ, ফেরীঘাটের বড় পরোটা, ফলপট্টি মোড়ের আলু চপ, গীর্জা মহল্লার আকাশ হোটেলের কালোভুনা, লঞ্চঘাটের কুমিল্লার ডালখাসি, ফেরীঘাটের মায়ের দোয়া হোটেলের ভর্তা, আম্বিয়া হাসপাতালের সামনের অধীর মামার চা, সর্ষিনার ফয়সালের আচার (পথে ঘাটে দেখা পাওয়া পায়), চাঁনমারী মোড়ের মাখন রুটি, টাউহহলেস সামনের সিংঙ্গারা ও সমুচা, নতুন বাজারের ওয়াহিদ ভাইয়ের কেক (অর্ডর), হক এর মিষ্টি ইত্যাদি খাবার বরিশালের ঐতিহ্য খাবার।
- বরিশাল শহরে দু’কদম হাটলেই বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে।
কোথায় গাড়ি পাব? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
- বরিশালে যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
- আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
- বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
- প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।
ফেরীঘাট, লঞ্চ, নদী, বিভিন্ন ঐহিত্যবাহী স্থাপনা, প্রাচ্যের ভেনিস, ২য় বৃহত্তর বন্দরের শহরের আপনাকে আবারও আমন্ত্রণ।
বাংলাদেশের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান ও ইতিহাস জানতে এখানে ক্লিক করুন