বান্দরবানের দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ সাকা হাফং (১০৫২ মিটার), বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং (৮৮৪ মিটার) এবং সর্বোচ্চ রাইখিয়াং খালের শহর বান্দরবান। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আপনাকে স্বাগতম।

পরিচিতিঃ

অপরূপ সৌন্দর্য্য ও প্রাকৃতিক আশীর্বাদপুষ্ট বিখ্যাত পাহাড়ি অঞ্চল বান্দরবান। উপজাতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্রতা দেখা ছাড়াও এই অঞ্চলের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য দর্শণীয় স্থান যা ভ্রমণপিপাসু ও এডভেঞ্চারপ্রিয়দের তৃষ্ণা মেটাবে।  বাংলাদেশেল কম জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল বান্দরবান। ৭টি উপজেলা রয়েছে (বান্দরবান সদর, আলীকদম, থানচি, নাইক্ষংছড়ি, লামা, রুমা, রোয়াংছড়ি)। রাঙামাটি, খাগড়াছটি ও কক্সবাজার, পূর্ব ও উত্তর- পূর্বে মায়ানমারের আরকান ও চিন প্রদেশের সীমান্তের মাঝখানে বান্দরবান পার্বত্য জেলা। মারমা রাজার বাসভূমি হিসেবে বান্দরবান পরিচিত। সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাকখালী নদী রয়েছে এই জেলায়। গিরি রয়েছে (তামবাং, পলিতাল, মেরেঞ্জা, ওয়াইলাটং)। বান্দরবানের দর্শনীয় স্থান সমূহের বিস্তারিত নিচে দেখুন।




যেভাবে যাবেন

আপনি যে এলাকা থেকে মেহেরপুর আসতে চাচ্ছেন সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন ( মেহেরপুর ) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার,বাসের ভাড়া,বাসের ধরন (এসি/নন-এসি) এবং সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

দর্শনীয় স্থান(বান্দরবানের দর্শনীয় স্থান)

মেঘের সাথে পাহাড়ের সৌন্দর্য্য দেখতে চাইলে আপনি অবশ্যই বান্দরবান আসবেন।

নীলাচল ও শুভ্রনীল:

বান্দরবানে আকর্ষীয় দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম নীলাচল। শহর থেকে ৫ কি.মি দূরে ১৭০০ ফুট উচুঁতে পাহাড়ের ওপর অবস্থিত পর্যটন স্থান হচ্ছে নীলাচল ও শুভ্রনীল। বান্দরবান বাস স্টেন থেকে পিক-আপ ভাড়া করে সোজা নীলাচল এবং শুভ্রনীল যেতে পারবেন।

শৈলপ্রপাতঃ

শহর থেকে ৮ কি.মি দূরে অবস্থিত প্রাকৃতিক ঝর্ণা শৈলপ্রপাত। শীতল আবহাওয়ায় ঘেরা এই প্রাকৃতিক ঝর্ণায়।

সাঙ্গু নদীঃ

বাংলাদেশের সকল নদীর মধ্যে অন্যতম সাঙ্গু নদী। উত্তর হতে দক্ষিণে গিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। নৌকা নিয়ে দর্শনার্থীদের ভ্রমণ করতে দেখা যায়।

স্বর্ণমন্দিরঃ

শহর থেকে ৪ কি.মি দূরে স্বর্ণমন্দির। বিকাল ৫ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।

বোমাং রাজবাড়ীঃ

বান্দরবান শহরের কেন্দ্রস্থলে শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যের স্মারক পুরাতন রাজবাড়ি। বান্দরবান শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে রিক্সা এবং ৫ মিনিট হেঁটে যাওয়া যায়।

মেঘলাঃ

কেরানীহাট-বান্দরবান শহরের প্রবেশ পথেই মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স। যেখানে অসংখ্যা দেখার মত প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম গঠিত পর্যটন কেন্দ্র। লেক, হৃদ, ঝুলন্ত ব্রীজ, পাহাড়, চা বাগান, চিড়িয়াখানা এছাড়া অসংখ্যা চিত্তবিনোদনের স্থান রয়েছে।

মিলনছড়িঃ

বান্দরবান শহর থেকে ৩ কি.মি দূরে অবস্থান এই ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির আচার-আচরণ, সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় উৎসব পর্যটকদের পাহাড়ি কন্যা মিলনছড়ি।

প্রান্তিক লেকঃ

বান্দরবান শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে প্রান্তিক লেক। ২৫ একর এলাকা জুড়ে লেক, সবুজ গাছ-গাছালি ছোট ছোট পাহাড়ে ভরা। এটি পিকনিক স্পটও বটে।

চিম্বুকঃ

বান্দরবান শহর থেকে ২৩ কি.মি দূরে চিম্বুক পাহাড়ের অবস্থান। চিম্বুর পাহাড়ের সাথে মেঘের ঘষাঘষি দর্শনার্থীদের মনে জায়গা করে নেয়।

দামতুয়া ঝর্ণাঃ

বান্দরবান আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত। ১২-১৪ কি.মি পায়ে হেঁটে পাহাড় বেয়ে যেতে হয় এই ঝর্ণার। পর্বত আরোহীদের স্থান এটি না এখানে কোন দুর্বল, বয়স্ক, বাচ্চা যেতে পারে। যারা গিয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় এভারেস্ট জয় করার মত।

নীলগিরিঃ

শহর থেকে ৫০ কিমি দূরে অবস্থিত এই দার্জিলিং। নীলগিরিকে বাংলার দার্জিলিং বলা হয়। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ২২০০ ফুট উচ্চতায় মেঘ ছোঁয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে নীলগিরি আপনার সেই ইচ্ছে পূরণ করবে। বর্ষাকাল ছাড়া সমসময় যাতায়াত করতে পারবেন।

বগালেকঃ

রুমা উপজেলা থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে কেওক্রাডং পাহাড়। অনেক বছর পূর্বে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছিল এই হৃদ। অনেক ধরনের মতবাদ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ অথভা উল্কাপিন্ডের পতনের ফলে এই হৃদ সৃষ্টি হয়। এই বগালেক ড্রাগন লেক নামেও পরিচিত।

কেওক্রাডংঃ

বাংলাদেশেল সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। যার উচ্চতা ১,২৩০ মিটার। এই উচ্চ পর্বতশৃঙ্গ থেকে পুরা বান্দরবান জেলা দেখা যায়।

জাদিপাই ঝর্ণাঃ

বান্দরবান রুমা উপজেলার প্রশস্ততম ঝর্ণাগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম জলপ্রপাত জাদিপাই ঝর্ণা।

সাকা হাফংঃ

বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সীমান্তে সাকা হাফং চূড়াটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তিন্দুঃ

তিন্তু একটি ইউনিয়ন থানচি উপজেলার।

বড় পাথরঃ

বড় বড় পাথরের সঙ্গে পানি ঘেষে থাকে। যেন পাথরের রাজ্য বলা হয় বড় পাথরকে। থানচি উপজেলার পরে তিন্দেু, রেমাক্রি উপজেলায়।

দেবতাখুমঃ

বান্দরবান হচ্ছে খুমের স্বর্গরাজ্য, এই মুকুট অধিকারে নিয়ে গেছে দেবতাখুম। দেবতাখুম যেতে হলে প্রথমে কচ্চপতলি গিয়ে আর্মি ক্যাম্পের পারমিশন নিতে হবে। দেবতাখুম যাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন। পেয়ে যাবেন সুন্দর একটি গাইড।

নাফামুখঃ

বান্দরবান থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের অবস্থিত এই নাফাখুম জলপ্রপাত। নাফামুখ দেখতে থানচি বাজার থেকে সাঙ্গু নদী পথে নৌকা দিয়ে রেমাক্রি যেতে হয়। দ্রুত গতি নেমে আসা পানির জলীয় বাষ্পে সূর্যের আলোর প্রতিনিয়ত এখানে রংধনু খেলা করে।

মারায়ন তংঃ

বান্দরবান আলীকদম থানার মিরিঞ্জা রেঞ্জে অবস্থিত মারায়ন তং পাহাড়।

আলীর গুহা/ আলীর সুড়ঙ্গঃ

বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত এই আলীর সুড়ঙ্গ। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে এই সুড়ঙ্গ। সুড়ঙ্গটি বেশ সরু, হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয় দর্শনার্থীদের যেখানে টর্চ লাইট ব্যবহার করতে হয়।

সাতভাইখুমঃ

বান্দরবান জেলায় অবস্থিত আমিয়াখুম জলপ্রপাত থেকে কিছুটা দূরে পাহাড় আর সবুজে ঘেরা স্বাচ্ছ শীতল জলধারার নাম সাতভাইখুম।

ডিম পাহাড়ঃ

বাংলাদেশ অন্যতম পর্বতশৃঙ্গ। সমতল থেকে আড়াই হাজার ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছে সবচেয়ে উঁচু সড়কপথ। পাহাড়টি আকৃতি ডিমের মত তাই স্থানীয়রা ডিম পাহাড় বলে।



যেখানে রাত্রিযাপনঃ বান্দরবানের দর্শনীয় স্থান দেখতে গিয়ে

  • ৩০০ টাকার রুম থেকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট অবধি ভাড়া পাবেন।
  • সার্কিট হাউজ (সরকারি-017142030354),
  • হিলটপ রেস্ট হাউজ (সরকারি-6230362077),
  • নীলাচল রেস্ট হাউজ (সরকারী-01714230354),
  • মেঘলা রেস্ট হাউজ (সরকারী), মেঘলা,
  • বান্দরবান- 01714230354, এছাড়াও ভেনাস রিসোর্ট, হোটেল গ্রীন ল্যান্ড, হোটেল থ্রি স্টার, জোভি গেস্ট হাউজ, হোটেল রিভার ইত্যাদি।
  • রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।
  • আপনি বান্দরবানে যেখানে থাকেন ঘুরতে যান না কেন? সেখানে অবশ্যই সকাল বেলা বের হবেন এবং অবশ্যই সন্ধ্যা নামার আগে ফিরবেন। কারণ উল্লেখ্য দর্শনীয় স্থানে অনেক এরিয়াতে হোটেল/আবাসিক গড়ে উঠেনি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আবার কটেজ রয়েছে।




যেখানে খাবেনঃ

  • বান্দরবানে উপজাতিদের খাবার নিয়ে যত কৌতূহল আমাদের মাঝে। ছোট ছোট রেস্তোরা, হোটেল, ক্যাফে রয়েছে উপজাতি। যেখানে আপনি নানান রকম সুস্বাদু, ইউনিক খাবার পাবেন। যা আগে কখনো দেখেননি। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ  তবে বান্দরবান প্রচুর পরিমাণ কৃষিজ ফল উৎপন্ন হয়।
  • তেঁতুলের কচি পাতা দিয়ে মুরগির স্যুপ, ফাল্গুনের কচি লালাভ আমপাতা ভর্তা কিংবা কাঁচা কচি আস্ত কলাগাছের ভর্তা, কচি বাঁশের নানা পদের রান্না, বাঁশ ভাজি, বাঁশ ডাল, মোচা ভর্তা, কাঁচা হলুদ ভর্তা, ছোট মাছ দিয়ে হলুদ ফুলের সবজি, কলাপাতা মোড়ানো ছোট মাছ, কলমি ভর্তা, থানকুনি পাতা ভর্তা, বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধ সবজি, চিকের গুরদানি, পাহাড়ি হাঁসের মাংসের কালাভুনা, কাঁচকি ফ্রাই ও ভর্তাসহ বিভিন্ন মজাদার সুস্বাদু পদ ।

পাহাড়ি শহরে আপনার পছন্দের কেনাকাটাঃ বান্দরবানের দর্শনীয় স্থান দেখার পর

  • পাহাড়িদের নিজেদের তৈরি বিভিন্ন পোশাক, শিল্প, হাতের তৈরি নানান প্রকারের সংসারের সরঞ্জা ইত্যাদি। এমন কিছু দেখবেন যা বাঙ্গালির ঐতিহ্য যা এখন বিরল।

কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো?  রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?

  • বান্দরবান যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন । প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
  • আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
  • বান্দরবান বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
  • বান্দরবানে প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।

পাহাড় ঘেরা শহর, সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ, পাহাড়ের সাথে মেঘের মিতালী, মেঘলা, লেক, হ্রদ, সুড়ঙ্গ, ঝর্ণা, ঝুলন্ত ব্রীজ, উপজাতি, বিভিন্ন ধরণের সংস্কৃতির এক শহর বান্দরবানে আপনাকে আবারও আমন্ত্রণ।

বাংলাদেশের আরো বেশি পর্যটন এলাকার বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন কেমনে যাবো ডট কম  বান্দরবান যাবো

x