ভৈরব ইতিহাস । দর্শনীয় স্থান । কোথায় থাকবেন । কি কি খাবেন সহ ইত্যাদি

ব্রিটিশ আমল থেকেই ব্যবসা কেন্দ্রিক শহর হিসেবে সুপরিচিত ভৈরব । ভৈরব আবার ভৈরব বাজার নামেও বেশ খ্যাত। সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক বন্দর নগরী হিসেবে পরিচিত ভৈরব ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিই।

পরিচিতি-

মেঘনা ও ব্র্রহ্মপুত্রের মিলনস্থলে সৃষ্ট এক সমৃদ্ধ জনপদের নাম ভৈরব। জানা যায়, চরাঞ্চল ও জলাভূমিতে উলু-খাগড়ার বন জন্মানোর কারণে স্থানটির প্রথম নাম হয় উলুকান্দি। তৎকালীন ভাগলপুর দেওয়ানদের জমিদারীর অন্তর্ভূক্ত ছিল উলুকান্দি। ভাগলপুরের দেওয়ান সৈয়দ আহমদ রেজা এর কাছ থেকে নবীনগর উপজেলার বিটঘরের দেওয়ান ভৈরব চন্দ্র রায় মৌখিক অনুমতি নিয়ে উলুকান্দি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জনবসতি শুরু করেন, কালপরিক্রমায় সেখানে একটি বাজার গড়ে উঠে। জমিদার ভৈরব চন্দ্র রায় তাঁর মায়ের নামে বাজারটির নামকরণ করেন কমলগঞ্জ প্রকাশ্যে ভৈরব বাজার। আশে পাশের গ্রামগুলোর নাম দেয়া হয় তাঁর ভাই-বোনদের নামানুসারে ভৈরবপুর, কমলপুর, জগন্নাথপুর, শম্ভুপুর, কালীপুর, চনিডবের ও লক্ষীপুর। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ভৈরব উপজেলা ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি উপজেলা। পাদুকা শিল্পের জন্য বেশ বিখ্যাত ভৈরব।


যেভাবে যাবেন-

আপনি যে এলাকা থেকে ভৈরব আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (ভৈরব) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।

ভৈরব দর্শনীয় স্থানসমূহ/ ভৈরব ইতিহাস-

আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটাতে এই অঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান।
আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-

সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু এবং মেঘনা রেলসেতু এবং নীচের মধ্যবর্তী স্থানঃ

ভৈরব রেল সেতু এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু এর মধ্যবর্তি স্থানে মেঘনার তীরে দাড়িয়ে আপনি দেখতে পারবেন নদীর বুকে ছুটে চলা সারিবদ্ধ মালবাহী কার্গো, বিরামহীন যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযান, এছাড়াও নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দৃশ্য। মেঘনা নদীর বুকে দাঁড়িয়ে থাকা জোড়া সেতুর চারপাশের নৈসর্গিক দৃশ্য আপনাকে প্রকৃতির আরও কাছে টেনে নিবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত নদীর প্রবাহমান জলতরঙ্গ ও মুক্ত বাতাস এলাকাটি ভৈরবসহ আশে পাশের লোকজনকে দিন দিন আকৃষ্ট করছে।
কিভাবে যাওয়া যায়: ঢাকা থেকে ভৈরব দূর্জয় মোড়ে এসে, সেখান থেকে রিক্সাযোগে সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং রাজা ৬ষ্ঠ জর্জ রেল সেতু (মেঘনা রেলসেতু) এবং নীচের মধ্যবর্তী স্থানে যাওয়া যায়।

দুর্জয় স্মৃতি ভাস্কর্যঃ – ভৈরব ইতিহাস।

মুক্তিযোদ্ধের একটি স্মৃতি ভাস্কর্য “দুর্জয় ভৈরব” নামক ভাস্কর্যটি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলায় দুর্জয় মোড়ে অবস্থিত। স্বাধীনতা যুদ্ধ অর্থাৎ ১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে ভৈরব উপজেলার শাহাদাৎ বরণকারী ১২ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে একটি নাম ফলক উন্মোচন করা হয়।
কিভাবে যাওয়া যায়ঃ ঢাকা থেকে সরাসরি কিশোরগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জ থেকে লোকাল বাসে ভৈরব উপজেলার দুর্জয় মোড়ে নামলে এই ভাস্কর্য টি দেখতে পাবেন।


পানাউল্লাহর চর বধ্যভূমিঃ

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এখানে অসংখ্য লোককে হত্যা করে। শহিদ লোকদের স্মৃতির স্মরণে এখানে একটি স্মৃতি সৌধ নিমার্ণ করা হয়।
কিভাবে যাওয়া যায়: ঢাকা থেকে সরাসরি কিশোরগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জ থেকে লোকাল বাসে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড ,এরপর বাসস্ট্যান্ড হতে অটোরিক্সা বা সিএনজি যোগে শম্ভুপুর বাজারে নামতে হবে। বাজার থকে হাতের বাম পাশে রিক্সা যোগে ১.০০ কি.মি যেতে হবে।

অন্যান্য দর্শনীয় স্থান-

  • নাটালের মোড়,
  • সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর পূর্বপাড়ার বৃদ্ধ বট বৃক্ষ,
  • আইভী চত্বর ও
  • সিরাজীয়া দরবার শরীফ, কালিকা প্রসাদ।

যেখানে রাত্রিযাপন-

  • জেলা পরিষদ ভিভিআইপি ডাক বাংলো, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভৈরব, কিশোরগঞ্জ । ফোনঃ +০৮৮০১১৯৯৪৮৬৩৭৫ ।
  • হোটেল উজানভাটী (আবাসিক), স্টেশন রোড, কিশোরগঞ্জ । ফোন: ০১১৯৫৪১২৩৭০ ।
  • হোটেল গাংচিল(আবাসিক), স্টেশন রোড, কিশোরগঞ্জ । ফোনঃ ০১৭২৪২৪৫১৫৫, ০১৭১২৭০০৫৮৫ ।
  • অথবা রয়েছে বুকিং ডট কম

যেখানে খাবেন-

রাসায়নিক দ্রব্য ছাড়া তরতাজা মাছ ও সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য বেশ বিখ্যাত হল ভৈরব বাজার । সুতরাং তরতাজা ও হাওড়ের মাছের স্বাদ নিতে হলে ভৈরব বাজারকে আপনার ভ্রমণ তালিকায় রাখতে পারেন।

কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
  • ভৈরব এর যে প্রান্তে আসবেন না কেন, কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
  • আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
  • বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
  • প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থার য়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।

ভৈরব ইতিহাস মতো বাংলাদেশের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহের তথ্য (কাউন্টার লোকেশন ও ফোন নাম্বার, ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং এরিয়ার পরিচিতি, যেখানে থাকবেন এবং খাবেন) পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন



x