ভোলা ভ্রমণ । কোথায় থাকবো । কী কী দেখবো । কী কী খাবো । সকল দর্শনীয় স্থান সমূহ
বৃহত্তম গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ দক্ষিণ শাহবাজপুর বর্তমান ভোলা জেলায় আপনাকে স্বাগতম। ভোলা ভ্রমণ হোক আনন্দের সাথে।
পরিচিতি-
ভোলা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক জেলা। যার অবস্থান উত্তরে বরিশাল জেলা ও মেঘনা নদী, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা এবং পশ্চিমে বরিশাল জেলা। এ জেলায় ৭টি উপজেলা (চরফ্যাশন, তজুমদ্দিন, দৌলতখান, বোরহাউদ্দিন, ভোলা সদর, মনপুরা, লালমোহন) ও ৭০ টি ইউনিয়ন রয়েছে। দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং দেশের সর্ব বৃহৎ নদী মেঘনার কুল ঘেসে অবস্থিত এই জেলা। দেশেল সর্ব বৃহৎ দ্বীপ ভোলা এবং শুধু দ্বীপ নয় ভোলা দেশের সুসজ্জিত একটি জেলা। ভোলা গাজী পাটনী কিংবা ভেলা হতে এলাকার নাম হয় ভোলা। তদকালে বেতুয়া নদী ছিল প্রবল স্রোতময় ও প্রশস্ত। ভোলা গাজী নামক এক পাটনি খেয়া নৌকার সাহায্যে লোকজনকে নদী পারাপার করাতেন। তিনিই প্রথম খেয়া দিয়ে লোকদের পারাপার শুরু করেছিলেন। সবাই তাকে ভোলা গাজী নামে চিনতো। কথিত হয়, এ ভোলা গাজীর নামানুসারে এলাকার নাম হয় ভোলা। এই জেলার অর্থনীতির প্রধান উৎস মাছ ব্যবসা এবং দধি। এই জেলার উল্লেখ্যযোগ্য ব্যক্তিত্বে রয়েছে (নজিউর রহমান মঞ্জুর, তোফায়েল আহমদ, আমিনুল হক (ফুটবলার), তৌসিফ (অভিনেতা) ইত্যাদি।
যেভাবে যাবেন-
আপনি যে এলাকা থেকে এই এলাকায় আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (এলাকার) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।
ভোলা দর্শনীয় স্থান সমূহ- ভোলা ভ্রমণ
আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-
জ্যাকব টাওয়ার-
জ্যাকব টাওয়ার বা চরফ্যাশন টাওয়ার ভোলা জেলায় অবস্থিত উপমহাদেশের সর্বোচ্চ ওয়াচ টাওয়ার। আইফেল টাওয়ারের আদলে নির্মিত ১৬ তলা বিশিস্ট এই ওয়াচ টাওয়ারে প্রতিটি তলায় ৫০ জন ও পুরো টাওয়ারে ৫০০ জন দর্শ অবস্থান করতে পারে। এখানে জনপ্রতি ফি প্রয়োজন ১০০ টাকা।
নিজাম হাসিনা মসজিদ-
দেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলায় নির্মাণ করা হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ অত্যাধুনিক মসজিদ নিজাম হাসিনা মসজিদ যেখানে নারী এবং পুরুষ উভয়ই নামাজ পড়ার সুবিধা রয়েছে। মসজিদটির গম্বুজের উচ্চতা ৬০ ফুট এবং মিনারের উচ্চতা ১২০ ফুট আরো রয়েছে ক্যালিগ্রাফি, আকর্ষণীয় ফোয়ারা, সাজানো ফুলের বাগান ইত্যাদি।
সদর থেকে ইলিশা ফেরি গিয়ে ১০ কি.মি পথ পাড়ি দিলেই হাসিনা মসজিদ পৌঁছাতে পারবেন।
স্বাধীনতা জাদুঘর-
তরুণ প্রজন্মকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করার উদ্দেশ্যে ভোলার বাংলা বাজার এলাকায় তোফায়েল আহমেদ ট্রাস্টি বোর্ডের উদ্যোগে স্বাধীনতার জাদুঘর গড়ে তোলা হয় যেখানে স্বাধীনতার ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন, ৬৬ সালের ছয় দফা সহ ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সম্পূর্ণ ইতিহাস সংরক্ষিত আছে।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর-
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশেল স্বাধীনতা জন্য নিজের জীবন উৎসর্গকারী এক সাহসী যোদ্ধার নাম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল যার সম্মান প্রদর্শন ও স্মৃতি রক্ষার্থে ২০০৮ সালে ভোলা শহর থেকে ৭ কি.মি দূরে আলীনগর ইউনিয়নের মোস্তফা নগরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সদর থেকে রিক্সা/সিএনজি নিয়ে কামাল স্মৃতি জাদুঘরে পৌছানো যায় এবং সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
কুকরি-মুরকি-
এই জেলার রয়েছে একটি দ্বীপ বা চর। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে জেগে ওঠা চরটির না হল কুকরি-মুকরি অনেকের ওলন্দাশ-পর্তুগিজদের অভয়ারণ্য বলে পরিচিত। এখানে প্রায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সমাগম হয়।
সদর থেকে ১৫০ কি.মি দূরে বঙ্গোপসাগরের পাশেই।
শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র-
এই জেলায় অবস্থিত একটি গ্যাসক্ষেত্র। এই গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে ভোলায় আবাসিক ব্যবহার জন্যও গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। এখানে ৬টি কূপ রয়েছে যা দিয়ে গ্যাস বের হয়।
সদর থেকে ভেদুরিয়ার আসলে একটি কূপ দেখা যায় এবং টগবীর মুন্সিরহাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে অন্য কূপ।
মনপুরা দ্বীপ-
বাংলাদেশের অন্তর্গত একটি বিচ্ছিন্ন ভূমি মনপুরা দ্বীপ। মনপুরা দ্বীপের পূর্ব , পশ্চিম এবং উত্তর দিকে মেঘনা নদী প্রবাহমান আর দক্ষিণ দিকে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় শীতকাল। এখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার বিরল সুযোগ রয়েছে।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান-
- শিশু পার্ক।
- উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী।
- খামার বাড়ি-নজরুল নগর, চরফ্যাশন।
- বিভাগীয় টেক্সটাইল কলেজ।
- শাহবাজপুর মেঘনা পর্যটন কেন্দ্র্।
যেখানে রাত্রিযাপন-
- ৩০০ টাকার রুম থেকে মোটামুটি মানের রুম ভাড়া পাবেন। সরকারী ডাকবাংলো, প্রেস ক্লাব বাংলো, কারিতাস বাংলো ইত্যাদি।
- রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।
যেখানে খাবেন-
- এই শহরের খাবার? ———> এই এলাকার দধি, নদীর টাটকা ইলিশ, বোয়াল, কোরাল এবং গলদা চিংড়ি ইত্যাদি।
- এখানে হাঁসের মাংস ভূনা খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও মহিষের দুধের দধি, ইলিশ, কোরাল, বোয়াল ও গলদা চিংড়ি বেশ পরিচিতি।
- এই শহরে দু’কদম হাটলেই বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে।
পছন্দের কেনাকাটা- ভোলা ভ্রমণ
- এই এলাকায় জাহান মার্কেট, জিয়া সুপার কমপ্লেক্স, তালুকদার ভবন, চৌধুরী প্লাজা, জাহাঙ্গির শপিং কমপ্লেক্স ইত্যাদি মার্কেট রয়েছে।
- এই শহরে কেনকাটা হোক আনন্দের সাথে।
কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
- এই শহরের যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
- বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
- প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থার য়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহের তথ্য (কাউন্টার লোকেশন ও ফোন নাম্বার, ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং এরিয়ার পরিচিতি, যেখানে থাকবেন এবং খাবেন) পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন।