যশোর । যশোর দর্শনীয় স্থান, রাত্রিযাপন, বিখ্যাত খাবার সহ ইত্যাদি

খুলনা বিভাগের যশোর জেলায় আপনাকে স্বাগতম। যশোরে ভ্রমণ হোক আনন্দের সাথে।

পরিচিতি- যশোর

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা যশোর। উত্তরে ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলা, দক্ষিণ পূর্বে সাতক্ষীরা জেলা, দক্ষিণে খুলনা, পূর্বে নড়াইল জেলা। যশোর নামকরণের পেছনে নানা ধরণের মতবাদ রয়েছে তার মধ্যে গৌড়ের ধন ও যশ হরণের মাধ্যমে এ অঞ্চলের শ্রী বৃদ্ধি ঘটেছিল বলে অনেকের ধারণা। তাই হরণকৃত যশ থেকে যশোর নামের উৎপত্তি।  প্রশাসনিক কাঠামোর দিক থেকে যশোর বাংলাদেশের ১৩তম বৃহত্তম জেলা। যশোরে  প্রশাসনিক এলাকাসমূহ ৮টি উপজেলা রয়েছে। এটি একটি অতি প্রাচীন জনপদ কারণ ১৪৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে পীর খান জাহান আলীসহ বারজন আউলিয়া যশোরের মুড়লীতে ইসলাম ধর্ম প্রচারের প্রধান কেন্দ্র স্থাপন করেন। যশোরের অর্থনীতির প্রধান উৎস মাছ চাষ যার সিংহভাগই অর্থ আসে মাছ চাষ থেকেই। তাছাড়া রয়েছে বেনাপোল স্থল বন্দর, নওয়াপাড়া বাণিজ্যকেন্দ্র, পদখালি ফুলের রাজধানী ইত্যাদি।

যশোরে

অসংখ্য নদী রয়েছে ভৈরব নদ, কপোতাক্ষ নদ, বেতনা নদী, চিত্রা নদী, হরিহর নদ, ঝাঁপা নদ, বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতু ইত্যাদি। এই উল্লেখ্যযোগ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সনাতন গোস্বামী, মাইকেল মধূসূদন দত্ত, গোলাম মোস্তফা (মুসলিম রেঁনেসার কবি), দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কোহিনূর আক্তার সুচন্দা ইত্যাদি। যশোরে রয়েছে অসংখ্যা সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর মেডিকেল কলেজ, যশোর জিলা স্কুল, যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, দাউদ পাবলিক স্কুল ইত্যাদি।)



যেভাবে যাবেন-

আপনি যে এলাকা থেকে ‍যশোর আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (যশোর) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।

দর্শনীয় স্থান সমূহ- যশোর

আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-

বেনাপোল-

যশোর সদর থেকে বাস, প্রাইভেট কার বা অটোতে চড়ে শার্শা উপজেলাস্থ বেনাপোল স্থল বন্দর যাওয়া যায়। পণ্য বাণিজ্য ছাড়াও এই স্থল পথে প্রতিদিন শত শত ভ্রমণকারী দুই দেশের মধ্যে চলাচল করে। এটি কলকাতা শহর থেকে ৮০ কি.মি দূরত্বে অবস্থিত। দুই দেশের মধ্যকার বানিঝ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ বেনাপোলের দূরত্বে অবস্থিত।

ভাসমান সেতু-

যশোরের মণিরামপুরের ঝাঁপা বাওড়ের উপর নির্মিত  একটি ভাসমান সেতু। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩০০ ফুট। যশোর সদর বাস স্ট্যান্ড হতে স্থানীয় পরিবহন করে রাজগঞ্জ বাজারে পৌঁছাইলেই ভাসমান সেতু যাওয়া যায়।

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের মাজার-

১৯৭১সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলায় গোয়ালহাটি গ্রামে নূর মোহাম্মদ শহীদ হয়। যশোর শার্শা উপজেলা হয়ে কাশিপুর গিয়ে ৩ মিনিট হাঁটলেই বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের মাজা।

মীর্জানগর হাম্মামখানা-

যশোরের অবস্থিত ১৬৪৯ সালে ফৌজদার নিযুক্ত হন মীর্জা সফসিকান। তিনি বাংলার সুবেদনা শাহ সুজা শ্যালক এর পুত্র। এখানে রয়েছে মোগল স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণে তৈরি হাম্মামখানায় ৪টি কক্ষ, একটি কূপ, ৪ গম্বুজ ইত্যাদি।
যশোরের কেশবপুর উপজেলা থেকে ৭ কি.মি দূরে অবস্থিত এই মীর্জানগর হাম্মামখানা।

হনুমান গ্রাম-

যশোরের কেশবপুরে রয়েছে ভবঘুরে প্রজাতির প্রায় ৪০০ কালোমুখী হনুমাসের আবাস, সে জন্য এই এলাকাটি হনুমান গ্রাম নামে পরিচিত।

ভরতের দেউল-

যশোর জেলায় কেশবপুর উপজেলাস্থ গৌরিঘোনায় নদীর তীরে ভরতের দেউল অবস্থিত। সেখানে রয়েছে মঞ্জ, মন্দির, ৯৪টি কক্ষের সন্ধ্যান পাওয়া যায়।

কালেক্টেরেট পার্ক-

যশোর জেলায় অবস্থিত কালেক্টেরেট ভবন চত্বর শহরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে অধিক জনপ্রিয়। এখানে যা দেখতে পাবেন পুকুর, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, সূর্যমুখী, ব্লুস্টার, গোলাপ, কসমস, জিনিয়া, রঙিন ফুল, ইট বিছানো পথ, বসার বেঞ্চ, ফ্রী ওয়াইফাই সুবিধা ইত্যাদি।



জেস গার্ডেন পার্ক-

যশোর শহর থেকে মাত্র ৩ কি.মি দূরত্বে বাহাদুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কাছে সুন্দর ও নিরিবিলি পরিবেশে জেস গার্ডেন পার্ক অবস্থিত। চিত্তবিনোদনের অন্য জেস গার্ডেন পার্কে রয়েছে খেলাধুলার জন প্লেগ্রাউন্ড, শিশু পার্ক, নাগরদোলা, চেয়ার চরকি, ঘোড় চরকি, মিনি ট্রেন, প্যাডেল বোট, নামাযের স্থান, ক্যান্টিন ইত্যাদি।

গদখালী ফুলের রাজধানী-

গদখালী বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী। যশোর জেলা শহর থেকে বেনাপোলের দিকে ১৮ কি.মি দূরে অবস্থিত। এখানে রয়েছে ফুলের চাষ রজনীগন্ধা, গোলাপ, গ্লাডিওল্যাস আর গাঁ দা ফুল।

চাঁচড়া শিবমন্দির-

যশোর উপজেলায় চাঁচড়া গ্রামে অবস্থিত চাঁচড়া শিবমন্দির প্রায় ৩২২ বছরের পুরনো একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি মধুপল্লী-

যশোরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়িতে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, নামকরণ করা হয়।

অন্যান্য দর্শনীয় স্থানঃ

  • চাঁচড়া জমিদার বাড়ি,
  • যশোর ইনস্টিটিউট,
  • যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরী,
  • ফুলের গদখালি,
  • তাপস কুটির,
  • বিনোদিয়া পার্ক,
  • লালদীঘিরি পাড়। ইত্যাদি।

যেখানে রাত্রিযাপন-

  • ৩০০ টাকার রুম থেকে বিলাস বহুল রুম ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে যশোর সার্কিট হাউজ, এলজিইডি ভবন, জেলা পরিষদ বিডি, জেলা পরিষদ বিডি হল গেষ্ট হাউজ, জেলা পরিষদ অফিস সংলগ্ন ডাকবাংলো, রেষ্ট হাউজ, উপজেলা ডাকবাংলো, অতীথিশালা, গেষ্ট হাউজ বেঙ্গল টেক্সটাইলস,   ইত্যাদি ইত্যাদি।
  • রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।

যেখানে খাবেন

  • যশোর-এর খাবার? ———> এই শহরে বিখ্যাত তাজা মাছ।
  • যে খাবার এখানে বেশি জনপ্রিয় নানা মাছ, বন্দর বিদেশি জিনিসপত্র ইত্যাদি)।
  • এই শহরে দু’কদম হাটলেই  বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে।

পছন্দের কেনাকাটা 

  • এম. এ তালেব সুপার মার্কেট, বি ব্লক বাজার নিউ টাউন, নিউ মার্কেট, পৌর হকার্স, পাইনঅ্যাপল মার্কেট, কদমতলী বাজার ইত্যাদি।
  • এই শহরে কেনকাটা হোক আনন্দের সাথে।

কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো?  রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?

  • এই শহরের যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
  • বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
  • প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থার য়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহের তথ্য (কাউন্টার লোকেশন ও ফোন নাম্বার, ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং এরিয়ার পরিচিতি, যেখানে থাকবেন এবং খাবেন) পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন। 


x