রাঙ্গামাটি যাবো । রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান । কোথায় রাত্রি যাপন । কিভাবে যাবো
আকারে বড় জেলা। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি জেলায় আপনাকে আমন্ত্রণ।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে আপনাকে স্বাগতম।
পরিচিতিঃ
বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় জেলা রাঙ্গামাটি। নৈসর্গিক সৌন্দের্যে্যর লীলাভূমি বলা হয় রাঙ্গামাটিকে। পূর্বে একে কার্পাস মহল বলা হত। পার্বত্য চট্টগ্রামের এই অঞ্চল ইতিমধ্যেই এর স্নিগ্ধতা,সৌন্দর্য্য দিয়ে ‘রূপের রানী’ খ্যাতি পেয়েছে। পাহাড়, নদী, লেক পরিবেষ্টিত এই অঞ্চলে রয়েছে বাঙালী সহ ১৪ টিরও জনগোষ্ঠীর বসবাস যেকারণে এটি আরো বৈচিত্রময়। রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান সমূহ নিম্নে।
যেভাবে যাবেন-
আপনি যে এলাকা থেকে রাঙ্গামাটি আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (রাঙ্গামাটি) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনেযাবো ডট কম) পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি/নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।
দর্শনীয় স্থান সমূহ- রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান
পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়া এই অঞ্চলের দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-
সাজেক ভ্যালিঃ
রাঙ্গামাটি শহর থেকে নৌকায় যাতায়াত করতে হয় সাজেক ভ্যালিতে। কিন্তু খাগড়াছড়ি দিঘীনালা থেকে সহজে সাজেক ভ্যালি যাওয়া যায়। খাগড়াছড়ি কীভাবে যাবেন সে সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইট তথ্য রয়েছে। সাজেক ভ্যালি হল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন (৭০২ বর্গমাইল)। দেখার মত যা রয়েছে কমলক ঝর্ণা, পিদাম তৈসা ঝর্ণা, ঝুলন্ত ব্রীজ, হাজাছড়া ঝর্ণা, পাহাড়ের সুন্দর দৃশ্য, নদী।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পানি শক্তি দ্বারা পরিচালিত। চট্টগ্রাম হতে রাঙ্গামাটির এই দর্শনীয় স্থান প্রায় ৫০ কি.মি দূরত্ব। ১৬টি জল কপাট যুক্ত ৭৪৫ ফুট দৈর্ঘ্য একটি জল নির্গমন পথ বা স্পিলওয়ে রাখা হয়। প্রতি সেকেন্ড পানি নির্গমন ক্ষমতা ৫,২৫,০০০ কিউসেক ফুট।
ঝুলন্ত সেতুঃ
রাঙ্গামাটি শহর থেকে তবলছড়ি হয়ে সড়ক পথে সরাসরি ঝুলন্ত সেতু যাওয়া যায। রাঙ্গামাটি অনন্য আকর্ষীয় স্থান ঝুলন্ত ব্রীজ।
সুবলং ঝর্ণাঃ
রাঙ্গামাটি শহর থেকে ২৫ কি.মি দূরত্ব সুবলং ঝর্ণা। সুবলং ঝর্ণা ঝর্ণা প্রেমিদের মন কেড়েছে। রাঙ্গামাটি আসলে অবশ্যিই এই সুবলং ঝর্ণা দেখতে আসবেন।
শুকনাছড়া ঝর্ণাঃ
রাঙ্গামাটি শহর থেকে দিঘীনালা বাসটার্মিনাল থেকে মোটরবাইক বা চাঁদের গাড়ি করে বাঘাইহাটের আগে ১০ নম্বরে নেমে ১৫ মিনিট পায়ে হেঁটে করে ঝর্ণায় পৌছাতে হয়।
ধুপপানি ঝর্ণাঃ
রাঙ্গামাটি শহর থেকে বিলাইছড়ি হয়ে এই ধূপপানি ঝর্ণায় যেতে হয়।
মুপ্পোছড়া ঝর্ণাঃ
রাঙ্গামাটি শহরের বাঙ্গালকাটা উপজেলায় মুপ্পোছড়া ঝর্ণা অবস্থিত।
পেদা টিং টিংঃ
রাঙ্গামাটি শহর হতে ৫ কি.মি দূরে এই পেদা টিং টিং।
টুকটুক ইকো ভিলেজঃ
রাঙ্গামাটি শহর থেকে বোটে করে ভাড়া ২০ টাকা দিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় বসে পুরা শহর দেখা অন্যরকম অনুভূতি তৈরি করবে।
রাইংখ্যং পুকুরঃ
রাঙ্গামাটি শহর থেকে রাইংখ্যং পুকুর যেতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। তাই বান্দরবান রুমা উপজেলা থেকৈ এখানে যাওয়া আস করা নিরাপদ।
রাজবন বিহারঃ
রাঙ্গামাটি শহর থেকে মরটরজানে সরাসরি রাজবন বিহারে যাওয়া যায়। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ধ্যানের বিশাল গর্ত, মন্দির, স্বর্গীয় সিড়ি।
তিনটিলা বনবিহারঃ
রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় অবস্থিত তিনটিলা বনবিহার বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। লঞ্জে ছড়ে যেতে হয় ৩-৪ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করতে হয় এই তিন টিলা বনবিহারে যেতে।
যেখানে রাত্রিযাপনঃ
- ৩০০ টাকার রুম থেকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট অবধি ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে সার্কিট হাউজ (0351-62012), বন বিভাগ রেস্ট হাউজ (0351-63351), এলজিইডি রেস্ট হাউজ (035163148), হোটেল সুফিয়া (01553409149), হোটেল গ্রীণ ক্যাসেল, মোটেল জজ, হোটেল আল-মোবা, হোটেল শাপলা, হোটেল রাজু, হোটেল ড্রিমল্যান্ড, নিডস হিল ভিউ িইত্যাদি।
- রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।
- আপনি রাঙ্গামাটি যেখানে থাকেন ঘুরতে যান না কেন? সেখানে অবশ্যই সকাল বেলা বের হবেন এবং অবশ্যই সন্ধ্যা নামার আগে ফিরবেন। কারণ উল্লেখ্য দর্শনীয় স্থানে অনেক এরিয়াতে হোটেল/আবাসিক গড়ে উঠেনি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আবার রয়েছে।
যেখানে খাবেনঃ
- রাঙ্গামাটি উপজাতিদের খাবার নিয়ে যত কৌতূহল আমাদের মাঝে। ছোট ছোট রেস্তোরা, হোটেল, ক্যাফে রয়েছে উপজাতি। যেখানে আপনি নানান রকম সুস্বাদু, ইউনিক খাবার পাবেন। যা আগে কখনো দেখেননি। বাংলাদেশ পাহাড়ি দেশ তবে রাঙ্গামাটি প্রচুর পরিমাণ কৃষিজ ফল উৎপন্ন হয়।
- তেঁতুলের কচি পাতা দিয়ে মুরগির স্যুপ, ফাল্গুনের কচি লালাভ আমপাতা ভর্তা কিংবা কাঁচা কচি আস্ত কলাগাছের ভর্তা, কচি বাঁশের নানা পদের রান্না, বাঁশ ভাজি, বাঁশ ডাল, মোচা ভর্তা, কাঁচা হলুদ ভর্তা, ছোট মাছ দিয়ে হলুদ ফুলের সবজি, কলাপাতা মোড়ানো ছোট মাছ, কলমি ভর্তা, থানকুনি পাতা ভর্তা, বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধ সবজি, চিকের গুরদানি, পাহাড়ি হাঁসের মাংসের কালাভুনা, কাঁচকি ফ্রাই ও ভর্তাসহ বিভিন্ন মজাদার সুস্বাদু পদ ।
পাহাড়ি শহরে আপনার পছন্দের কেনাকাটাঃ রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান
পাহাড়িদের নিজেদের তৈরি বিভিন্ন পোশাক, শিল্প, হাতের তৈরি নানান প্রকারের সংসারের সরঞ্জাম ইত্যাদি। এমন কিছু দেখবেন যা বাঙ্গালির ঐতিহ্য যা এখন বিরল।
কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
- রাঙ্গামাটি যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন । প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
- আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
- রাঙ্গামাটি বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
- রাঙ্গামাটি প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।
পাহাড় ও ঝর্ণা ঘেরা শহর, পানির তৈরি বিদ্যু কেন্দ্র, হরেক রকমের ঝর্ণা, ঝুলন্ত ব্রীজ, উপজাতি, বিভিন্ন ধরণের সংস্কৃতির এক শহর রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য আপনাকে আবারও আমন্ত্রণ।
দেশের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান সমূহের তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন