রাজবাড়ী জেলার ইতিহাস । দর্শনীয় স্থান । রাত্রি যাপন । খাবার ব্যবস্থা সহ ইত্যাদি

নদীমাতৃক জেলা রাজবাড়ীতে আপনাকে স্বাগতম । চলুন রাজবাড়ী জেলার ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিই-

পরিচিতি-

বর্তমান রাজবাড়ী জেলার অবস্থান পদ্মা ও যমুনা নদীর আববাহিকায়। রাজবাড়ী যে কোন রাজার বাড়ির নামানুসারে এসেছে তার সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়, রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারে রাজবাড়ীর নামকরণ করা হয়।কথিত আছে, রাজা সূর্য কুমার ও তাঁর আদি পুরুষগণের লক্ষীকোলের বাড়ীটি লোকমুখে রাজার বাড়ী বলে বেশ পরিচিত ছিল। এভাবেই আজকের রাজবাড়ী।
রাজবাড়ী জেলা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলার অন্তর্ভূক্ত ছিল। রাজবাড়ী জেলা এক সময় যশোর ও পরবর্তীতে ফরিদপুর জেলার অন্তর্ভূক্ত ছিল। সরকার কর্তৃক ১৯৮৩ সালে রাজবাড়ীকে মান উন্নীত থানা, ১৯৮৩ সালে রাজবাড়ী উপজেলা করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ রাজবাড়ী কে জেলায় রূপান্তর করা হয়।



যেভাবে যাবেন- রাজবাড়ী জেলার ইতিহাস.

আপনি যে এলাকা থেকে রাজবাড়ী আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (রাজবাড়ী) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।

রাজবাড়ী জেলা দর্শনীয় স্থানসমূহ-

আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটাতে এই অঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান।
আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-

রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের লাল ভবনঃ

প্রাচীন ঐতিহাসিক রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের লাল ভবনটি রাজবাড়ী জেলার একটি অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন। এই লাল ভবনের বয়স প্রায় দেড়শত বছর। গোয়ালন্দের জমিদার গিরিজা শংকর মজুমদার ভবনটিকে কাঁচারী ঘর হিসেবে ব্যবহার করতেন। জমিদার শংকর মজুমদার ১৮৯২ সালে এই ভবনে গোয়ালন্দ মডেল হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সুতরাং রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়কে বলা যায় শতাধিক বছরের পুরাতন গোয়ালন্দ মডেল হাই স্কুলের বর্তমান রূপ।

কিভাবে যাবেনঃ

কম খরচে ভ্রমণ করতে চাইলে BRTC বাসে (জনপ্রতি ১০০ টাকা) পাটুরিয়া এসে লঞ্চে (জনপ্রতি ২৫ টাকা ভাড়া) নদী পার হয়ে আবার বাসে করে (জনপ্রতি ৩০ টাকা) রাজবাড়ী শহর পৌঁছাতে পারবেন। রাজবাড়ী জেলা সদরের যেকোন স্থান হতে রিকশা/অটোরিকশা নিয়ে রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের লাল ভবন দেখতে যেতে পারবেন।

মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রঃ

২০০১ সালে মীর মশারফ হোসেনের স্মৃতি রক্ষার্থে, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রায় ২ একর জায়গা জুড়ে ২.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রটি ২০০৫ সালে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়। মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রে আছে গ্রন্থাগার, সংগ্রহশালা, দফতর, অতিথি কক্ষ, অভ্যর্থনা কক্ষ, প্রসাধন কক্ষ, ডাইনিং, কিচেন এবং ১০০ আসন বিশিষ্ট সেমিনার কক্ষ।

নলিয়া জোড় বাংলা মন্দিরঃ

জোড় বাংলা মন্দির রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে অবস্থিত। মন্দির দুইটির অবস্থান পাশাপাশি, সে জন্য এই মন্দিরকে জোড় বাংলা মন্দির নামে ডাকা হয়। জোড় বাংলা মন্দির এর একটি মন্দিরের চূড়া থাকলেও অন্য টির চূড়া অবশিষ্ট নেই। ঐতিহাসিকদের মতে, সীতারাম রায় ১৬৫৫ সালে উড়িষ্যার গৌরীয় রীতিতে এ জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন।
কিভাবে যাবেনঃ রাজবাড়ী জেলা সদর হতে বালিয়াকান্দি বাস স্টান্ডে নেমে ইজিবাইক, বাস অথবা নসিমনে চড়ে জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়াগ্রামে অবস্থিত জোড় বাংলা মন্দিরে যেতে পারবেন।



কল্যাণ দীঘিঃ

রাজবাড়ী জেলার নবাবপুর ইউনিয়নের রাজধরপুর গ্রামের পাশে কল্যাণ দীঘি অবস্থিত। ষোল খাদা জমি নিয়ে বিরাট আয়তনের দীঘিটি সমতল বিলে পরিনত হলেও দীঘির আয়তন স্পষ্টই বুঝতে পারা যায়। অষ্টাদশ শতকে রাজা সীতারাম কল্যাণ দীঘি খনন করেন।মতান্তরে, খান জাহান আলী কল্যাণ দীঘি খনন করেছিলেন।
কিভাবে যাবেনঃ রাজবাড়ী জেলা সদর ইজিবাইক অথবা নসিমনে কল্যাণ দীঘি দেখতে যেতে পারবেন।

জামাই পাগলের মাজারঃ

জামাই পাগল নামক একজন ব্যাক্তির স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে নির্মিত এই ‘জামাই পাগলের মাজার’ রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের আলাদিপুর গ্রামে অবস্থিত। ধারণা করা হয় ১৯৬০ সালের দিকে নেংটি পরিহিত এক ব্যক্তি বর্তমান মাজার প্রাঙ্গণের শেওরা গাছের নিচে অবস্থান নেন। তাঁর নামে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা প্রচলিত আছে। বাকের শাহ নামের এক ভক্ত এখানে অবস্থান নেন। নুর বাকের শাহেরর মৃত্যুর পর গৌরী পাগলী মাজারটি দেখাশুনা করতেন।
কিভাবে যাবেনঃ রাজবাড়ী জেলা সদর এসে রিক্সা বা ইজিবাইক নিয়ে সহজেই মাজারে যাওয়া যায়।

রাজবাড়ী অন্যান্য দর্শনীয় স্থান-

  • শাহ পাহলোয়ানের মাজার,
  • দাদ্শী মাজার শরীফ,
  • সমাধিনগর মঠ,
  • রথখোলা সানমঞ্চ,
  • নীলকুঠি,
  • দৌলতদিয়া ঘাট,
  • চাঁদ সওদাগরের ঢিবি,
  • কল্যাণদিঘি,
  • গোয়ালন্দঘাট

যেখানে রাত্রিযাপন-

  • হোটেল পার্ক, রাজবাড়ি পৌরসভা রোড, রাজবাড়ি। ফোনঃ ০৬৪১-৬৬১১১।
  • হোটেল ৭১ এন্ড রিসোর্ট, রাজবাড়ি পৌরসভা রোড, রাজবাড়ি। ফোনঃ ০১৭৬৩-৭৭৩৮৭১।
  • অথবা বুকিং ডট কম

যেখানে খাবেন-

  • রাজবাড়ীতে বিখ্যাত খাবারের মধ্যে >>> রেলগেইটের হৈরা শাহের চপ, ঝালাই পট্টির কুলফি মালাই, এবং পান বাজারে অবস্থিত ভাদু শাহার দোকানের চমচম, খেয়ে দেখতে পারেন।
কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
  • রাজবাড়ী এর যে প্রান্তে আসবেন না কেন, কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
  • আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
  • বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
  • প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থার য়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।

রাজবাড়ী জেলার ইতিহাস এর মতো বাংলাদেশের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহের তথ্য (কাউন্টার লোকেশন ও ফোন নাম্বার, ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং এরিয়ার পরিচিতি, যেখানে থাকবেন এবং খাবেন) পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন।



x