রাজশাহী যাবো – কোথায় থাকবেন – কোথায় খাবেন – দর্শনীয় স্থানসমূহ

পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত দেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মহানগরী রাজশাহী শহরে আপনাকে স্বাগতম।

পরিচিতি- (রাজশাহী যাবো তার আগে পরিচিতি)

রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান শহর। রাজশাহী পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। তার আকর্ষণীয় রেশমীবস্ত্রের জন্য রেশমনগরী নামে ডাকা হয়। নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য রাজশাহী-কে “শিক্ষানগরী” নামেও ডাকা হয়। রাজশাহী সুপ্রাচীন ঐতিহ্য মণ্ডিত একটি শহর। অনেক আগে থেকে এই শহরটি প্রাচীন বাংলায় পরিচিত ছিল। এটি ছিল প্রাচীন বাংলার পুন্ড্র সাম্রাজ্যের অংশ। বিখ্যাত সেন বংশের রাজা বিজয় সেনের সময়ের রাজধানী বর্তমান রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ৯ কি.মি দূরে অবস্থিত ছিল। মধ্যযুগে বর্তমান রাজশাহী পরিচিত ছিল রামপুর বোয়ালিয়া নামে। এর সূত্র ধরে এখনও রাজশাহী শহরের একটি থানার নাম বোয়ালিয়া। এখন প্রায় ১৫টি সফটওয়্যার ফার্ম আছে। এখানে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য প্রায় ১০টি ট্রেনিং সেন্টার আছে যা দিনে দিনে বাড়ছে। এখানে বড় দুইটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থাকায় আইটির লোকবলের কোন অভাব হয় না। রাজশাহী মহানগর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন যা “রাসিক” নামে পরিচিত। রাজশাহী মহানগরকে ৩০টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে। রাজশাহীতে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।




যেভাবে যাবেন-  (রাজশাহী যাবো)

  • কাউন্টারে যোগাযোগ করতে নিচে স্ক্রল করলে কাউন্টারের তথ্য পেয়ে যাবেন।

দর্শনীয় স্থান- (যা যা দেখতে রাজশাহী যাবো)

  • আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটাতে এখানে রয়েছে অনেক প্রাচীন স্থাপনা এবং আকর্ষণীয় নিদর্শন।
  • আকর্ষনীয়  দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীঃ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বিভাগে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার। শহীদ মিনার কমপ্লেক্স, সাবাশ বাংলাদেশ, বিদ্যার্ঘ, স্ফুলিঙ্গ, সুবর্ণ জয়ন্তী টাওয়ার, বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ উল্লেখ্যযোগ্য স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে রাজশাহী শহর থেকে ৫ কি.মি দূরে অবস্থিত।

পুঠিয়া রাজবাড়ী, রাজশাহীঃ

পুঠিয়া রাজবাড়ী রাজশাহীতে অবস্থিত নজরকাড়া স্থাপত্যের একটি অনন্য নিদর্শন। পুঠিয়া বহুকক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল পুঠিয়া রাজবাড়ীতে প্রবেশের জন্য উত্তর দিকে একটি সিংহ দরজা রয়েছে। জমিদার বা রাজারা এখানে থেকে তাদের রাজ কর্ম পরিচালনা করতেন। ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্যে উনবিংশ শতাব্দীতে পুঠিয়া রাজবাড়ি নির্মিত হয়। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্ববধানে থাকা পুঠিয়া রাজবাড়িটি লস্করপুর ডিগ্রী কলেজ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগীয় শহর হতে ৩০ কিলোমিটার এবং রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে পুঠিয়া রাজবাড়ীর অবস্থান।



বাধা মসজিদ, রাজশাহীঃ

ইট দিয়ে তৈরি প্রাচীন এই মসজিদটির চারপাশে ৪টি এবং মাঝখানে দুই সারিতে মোট ১০টি গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের পূর্ব পাশের ৫টি দরজা ছাড়া উত্তর-দক্ষিণের দেয়ালের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাধা মসজিদের ভেতরে এবং বাইরে প্রচুর পোড়া মাটিরফলক দেখতে পাওয়া যায়। মসজিদের ভেতরের উঁচু বেদিতে একটি বিশেষ নামাজের কক্ষ রয়েছে। এই বিশেষ নামাজের কক্ষ কার বা কাদের জন্য সংরক্ষিত তা এখনো অজানা রয়েছে। রাজশাহী শহর থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে ঐতিহাসিক বাঘা মসজিদ অবস্থিত।

সাফিনা পার্ক, রাজশাহীঃ

প্রায় ৪০ বিঘা জায়গায় উপর ২০১২ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলায় হয়েছে সাফিনা পার্ক। উপজেলার একমাত্র এই বিনোদন কেন্দ্রটি প্রায় ২ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৮ সালে পুনরায় চালু করা হয়। নতুন বিনোদন আয়োজনে সাজানো সাফিনা পার্কটি সব বয়সী দর্শনার্থীদের কাছে চিত্তবিনোদন ও পিকপিক স্পট হিসেবে বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় অর্জন করেছে। সাফিনা পার্ক রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দ্বিগ্রাম খেজুরতলায় অবস্থিত। দাগাড়ী থেকে সাফিনা পার্কের দূরত্ব ৯ কি.মি।

শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা, রাজশাহীঃ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ প্রান্তরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগ্রহ নিয়ে গড়ে উঠেছে দেশের প্রথম শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক জাদুঘর হিসেবে পরিচিত এই সংগ্রহশালায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও নানা স্মৃতি সংরক্ষিত আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে এই অবস্থান। রাজশাহী সদর থেকে ৫ কি.মি দূরে অবস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

উৎসব পার্ক, বিশ্ববিদ্যালয়ঃ

২০১৪ সালে প্রায় ৮০ বিঘা জায়গা জুড়ে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে পার্কটি স্থাপন করা হয়। উৎসব পার্ক গ্রামের সহজ সরল মানুষদের জীবনে শহুরে ভাবধারায় বিনোদনের ব্যক্তিক্রমী মাত্রা যোগ করেছে এটি। রাজশাহী বাধা উপজেলা থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে বাঘা দীঘির পাড়ে অবস্থিত।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা, রাজশাহীঃ

পদ্মার তীর ঘেষাঁ এক সময়ের রেসকোর্স ময়দানের ৩২.৭৬ একর জায়গা জুড়ে রাজশাহী কেন্দ্রী উদ্যান ও চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হয়েছে। রাজশাহী শহর থেকে চিড়িয়াখানার দূরত্ব মাত্র ৪.২ কি.মি।

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, রাজশাহীঃ

রাজশাহী শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর হল বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। আর প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের তালিকায় বরেন্দ্র জাদুঘর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম। রাজশাহী শহরের রাজশাহী কলেজের পাশে এটি অবস্থান।

শিশু পার্ক, রাজশাহীঃ

অত্যতম বিনোদন কেন্দ্র রাজশাহীর এই শিশু পার্ক্ । ১২.২১ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত শহীদ জিয়া শিশু পার্কে আছে মেরী গো রাউন্ড, মিনি রেলকর, ফ্লুম রাইডস ইত্যাদি ইত্যাদি অন্যান্য বিনোদন সামগ্রী। রাজশাহী জেলা সদরের নওদাপাড়া বড় বনগ্রামে অবস্থিত শিশু পার্কটি।



যেখানে রাত্রিযাপনঃ

  • ৩০০ টাকার রুম থেকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট অবধি ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে হোটেল রাডার, হোটেল আল-হাসিব, গণক পাড়া, বোয়ালিয়া, মনির উদ্দিন আবাসিক, হোটেল হক্স ইন, হোটেল মুন, হোটেল জমজম, হোটেল প্রিন্স, হোটেল প্রবাসী, হোটেল হক ইন্ট্যারন্যাশনাল, ইসলামী আবাসিক হোটেল, বাংলাদেশ পর্যটক মোটেল  ইত্যাদি।
  • রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।

যেখানে খাবেনঃ (রাজশাহী যাবো যা যা খাবো)

  • রাজশাহীর খাবার?
  • রাজশাহী  কালাইরুটি আর ভর্তা, তালাইমারী সহ মোটামোমুটি সব জায়গাতেই পাবেন, সাহেব বাজারের মরিচ চা, মালটা চা, লেবু চা, কাটাখালীতে গরুর কালাভুনা, নওহাটার কালাভুনা, মুরগী রোস্ট, সাহেব বাজারে নবরুপের মিস্টি, তালাইমারীর বট পরোটা, বিদ্যুৎ এ শিক কাবাব, সুখীর রান্না ঘরে লুচি, আলুর দম, নিউমার্কেটের পুরি, বার্গার ইত্যাদি।
  • রাজশাহীর লিচু জনপ্রিয় একটি ফল।
  • রাজশাহী শহরে দু’কদম হাটলেই  বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে।

কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো?  রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?

  • রাজশাহী যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন । প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
  • আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
  • রাজশাহী বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
  • রাজশাহী প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।

বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও  ঐতিহ্যবাহী মহানগরী রাজশাহী জেলায়  এবং বাংলাদেশের প্রাচীনদের বিভিন্ন স্থাপনা, ঐতিহ্য খাবার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য   শহরে আপনাকে আবারও আমন্ত্রণ। এছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার বিস্তারিত তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন।

x