শ্রীমঙ্গল । শ্রীমঙ্গল রিসোর্ট । শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ । শ্রীমঙ্গল দর্শনীয় স্থান সহ ইত্যাদি
সাত রংয়ের চা তথা সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় আপনাকে স্বাগতম। শ্রীমঙ্গলে ভ্রমণ হোক আনন্দের সাথে।
পরিচিতি- শ্রীমঙ্গল
বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার একটি উপজেলা শ্রীমঙ্গল। যার উত্তর-পূর্ব প্রান্তে মৌলভীবাজার, দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে হাইল –হাওর। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২শত কি.মি দূরত্বে ভারতের সীমান্তের কাছাকাছি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের অন্তর্গত হাইল-হাওরের পাশে অবস্থিত শ্রীমঙ্গল উপজেলা। শ্রীমঙ্গল শ্রীদাস ও মঙ্গলদাস নামে দু’জন প্রথমে এসে এখানে হাইল-হাওরের তীরে বসতি স্থাপন করেছিলেন। শ্রীমঙ্গল শাসিত হয়েছে আর্য যুগ, মুসলিম শাসিত আমল, মোগল আমল, ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তানি অন্তভুক্তি, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ। শ্রীমঙ্গল অর্থনৈতিক উৎস এবং চা শিল্পের ইতিহাস বাংলাদেশের বর্তমান ভৌগোলিক সীমানায় চায়ের বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু হয় আজ থেকে অনেক বছর আগে। বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট জুড়েই চা বাগান। তাই অর্থনৈতিক প্রধান উৎস চা বাগান এবং আনারস বাগান। শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া ও জলবায়ু বাংলাদেশের সবথেকে শীতল ও বৃষ্টিপাতপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। তবে শ্রীমঙ্গল সারাবছর নীতিশীতোষ্ণ। শ্রীমঙ্গল ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে।
যেভাবে যাবেন-
আপনি যে এলাকা থেকে শ্রীমঙ্গল আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (শ্রীমঙ্গল) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।
দর্শনীয় স্থান সমূহ-
আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট –
শ্রীমঙ্গল অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষনা ইনস্টিটিউট (BTRI)। পাকিস্তান চা বোর্ড ১৯৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানের এই চা গবেষণা স্টেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রটি শ্রীমঙ্গলের মূল শহর থেকে মাত্র ২ কি.মি দূরে অবস্থিত। এটি সংক্ষিপ্তভাবে বিটিআরআই বলে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান-
চায়ের শহর শ্রীমঙ্গল থেকে ১০ কি.মি দূরে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ (কলমগঞ্জ) সড়কের পশ্চিম পাশে জাতীয় এ উদ্যানের প্রবেশপথ।
নীলকণ্ঠ টি কেবিনের সাতরঙের চা-
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে রিকশা নিয়ে কালিঘাট রোডের কিছুদূর গেলেই দেখতে পাবেন বড় সাইনবোর্ড লেখ Nilkantha Tea Cabin। সেখানে পাওয়া যায় গ্লাসে সাত স্তরে সাত রঙের চায়ের কথা অনেকেরই জানা।
বাইক্কা বিল-
বাইক্কা বিল শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওড়ের পূর্বদিকে প্রায় ১০০ হেক্টর আয়তনের একটি জলভূমির নাম। বাইক্কা বিলের দেখা যায় নানান ধরনের পাখি।
লেমন গার্ডেন রিসোর্ট-
শীমঙ্গলের হামিমুনের জন্য লাউয়াছড়া লেমন গার্ডেন রিসোর্টটি মনোমুগ্ধকর।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থানঃ
- বাংলাদেশ চা বোর্ড প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিট।
- ৪০টি চা বাগান।
- নির্মাই শিববাড়ী।
- বিভিন্ন খাসিয়া পুঞ্জি।
- হাইল হাওরের বাইক্কা বিল অভায়াশ্রম।
- সীতেশ বাবুর বাবুর চিড়িয়াখানা।
- কাছারী বাড়ী।
- মসজিদুল আউলিয়া।
যেখানে রাত্রিযাপন-
- ৩০০ টাকার রুম থেকে সাধারণ মানের রুম ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ, শ্রীমঙ্গল, ওয়েস্টার্ণ প্লাজা (আবাসিক), রেস্ট ইন হোটেল, নিসর্গ নীরব ইকো কটেজ, হোটেল সোনার বাংলা, রাজা রেষ্ট হাউস, হোটেল আল রহমান, হোটেল পাপড়িকা ইত্যাদি ইত্যাদি।
- রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।
যেখানে খাবেন
- শ্রীমঙ্গল-এর খাবার? ———> এই শহরে জনপ্রিয় সাত রংয়ের চা।
- যে খাবার এখানে বেশি জনপ্রিয় ভাত, ডাল, মুরগির মাংস, হাঁসের মাংসের সঙ্গে মজাদার খাবার হিসেবে যায় বকের মাংস।
- এই শহরে দু’কদম হাটলেই বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে।
পছন্দের কেনাকাটা–
- শ্রীমঙ্গলে কিছু শপিংমল রয়েছে চাইলে কেনাকাটা করতে পারেন।
কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
- শ্রীমঙ্গল যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
- বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
- প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থার য়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।