সাতক্ষীরা । সাতক্ষীরা ভ্রমণ । সাতক্ষীরা দর্শনীয় স্থান । থাকার ও খাবার ব্যবস্থা ।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরায় আপনাকে স্বাগতম। সাতক্ষীরা ভ্রমণ হোক আনন্দের সাথে।
পরিচিতি-
সাতক্ষীরা খুলনা বিভাগরে একটি জেলা। যার উত্তরে যশোর, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে খুলনা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। এই জেলার নামকরণের অনেক দ্বিমত রয়েছে তন্মধ্যে প্রচলিত “একদা সাত মনীষী সাগর ভ্রমণে এসে একান্ত শখের বসে ক্ষীর রান্না করে খেলেছিলেন” তা পরবর্তীতে “সাতক্ষীরার” নামে প্রচলিত হয়। সাতক্ষীরায় অর্থনীতির মূল উৎস- চিংড়ি চাষ, বনজশিল্প, কৃষিজ পণ্য, কুটির শিল্প, বৃহৎ শিল্প, স্থল বন্দর ইত্যাদি। সাতক্ষীরায় গ্রাম সংখ্যা প্রায় ১৪২৩ টি, মৌজার সংখ্যা ৯৬০টি। সাতক্ষীরায় অসংখ্য নদী রয়েছে তন্মধ্যে কাকশিয়ালী, কালিন্দী, ইছামতি, হাওড়া, গুতিয়াখালী, নদী কপোতাক্ষ, লাবণ্যবতী, রায় মঙ্গল নদী ইত্যাদি। এখানে অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা , চিত্তাকর্ষক ও দর্শনীয় স্থান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ত্ব, সরকারী-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ একটি উন্নয়নশীল শহর।
যেভাবে যাবেন-
আপনি যে এলাকা থেকে সাতক্ষীরা আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (গন্তব্যস্থল) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।
দর্শনীয় স্থান সমূহ- সাতক্ষীরা
আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে-
মান্দারবাড়ী সমুদ্র সৈকত –
সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত বঙ্গোপসাগরে এক নয়নাভিরাম বেলাভূমি মান্দরবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত। হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর তীরে সুন্দরবন এবং মান্দরবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত এর অপূর্ব প্রকৃতি যেন নেশা ধরিয়ে দেয়।
সাতক্ষীরা শহর থেকে বুড়িগোয়ালীনির দূরত্ব প্রায় ৭০ কি.মি। বুড়িগোয়ালিনির নীলডুমুর নৌঘাট থেকে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্টিমার, স্পিড বোট পাওয়া যায়।
নলতা শরীফ- কালীগঞ্জ
সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামে অবস্থিত নলতা শরীফ। নলতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ , শিক্ষা সংস্কারক ও সমাজহিতৈষী খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ। সেখানে রয়েছে তার জাদুঘর।
সাতক্ষীরা থেকে কালীগঞ্জ উপজেলা গিয়ে সেখান থেকে ৮ কি.মি দূরে অবস্থিত নলতা শরীফ।
যশোরেশ্বরী কালী মন্দির –
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামে যশোরেশ্বরী কালী মন্দির অবস্থিত । হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি পবিত্র তীর্থস্থান।
সাতক্ষীরা জেলা থেকে শ্যামনগর উপজেলা তারপর যশোরেশ্বরী কালী মন্দির যাওয়া যায়।
মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট –
সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট। প্রায় ১২০ বিঘা জায়গা জুড়ে স্থাপন করেন এই গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট। মোজাফফর গার্ডেন ও রিসোর্টে সবুজে পরিপূর্ণ এবং খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশ সহজেই এখানে আগত অতিথিদের নজর কাড়ে ।
সাতক্ষীরা থেকে মাত্র ৫ কি.মি দূরে অবস্থিত এই মোজাফ্ফল গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট। রিকশা, সিএনজি এবং অটো দিয়ে যাওয়া যায় মন্টু মিয়ার বাড়ি।
তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ-
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা সদর থেকে ৩ কি.মি দূরে তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ অবস্থিত। এটি ১৮শ শতকের মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন।
সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কি.মি দূরে অবস্থিত তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ। বাস, রিকশা, ভ্যানের সাহায্য যাওয়া যায় তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ।
জোড়া শিবমন্দির –
সাতক্ষীরা জেলায় ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের অবস্থিত। বৈচিত্রপূর্ণ টেরাকোটা ইটে নির্মিত জোড়া শিবমন্দির এ অঞ্চলের মানুষের কাছে ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দির নামে পরিচিত।
সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে মাত্র ৬ কি.মি দূরে অবস্থিত।
সোনাবাড়িয়া মঠবাড়ি মন্দির –
সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায় সোনাবাড়িয়া মঠবাড়ির মন্দির অবস্থিত। একটি ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। অনেকের কাছে সোনাবাড়িয়া মঠ এবং শ্যাম সুন্দর মন্দির নামেও পরিচিত।
সাতক্ষীরা জেলা থেকে বাসে করে কলারোয়া এসে অটোরিক্সা যোগে সোনাবাড়িয়া মঠবাড়ি মন্দির দেখতে যাওয়া যায়।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান –
খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ সমাধি কমপ্লেক্স, হরিচরণ রায়চৌধুরীর জমিদারবাড়ি, যিশুর গির্জা, মায়ের মন্দির, মায়ি চম্পার দরগা, সুন্দরবন।
যেখানে রাত্রিযাপন-
- ৩০০ টাকার রুম বিলাসবহুল রুম ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে হোটেল সীমান্ত (01816275762), হোটেল সম্রাট প্লাজা (01768964971), সংগ্রাম আবাসিক হোটেল (01712929495), হোটেল হাসান (0174065002), পাতাল হোটেল (01823647462) ইত্যাদি ইত্যাদি।
- রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।
যেখানে খাবেন–
- সাতক্ষীরা-এর খাবার? ———> এই শহরে প্রধান খাদ্য চিংড়ি মাছ।
- যে খাবার এখানে বেশি জনপ্রিয় মধু, চিংড়ি মাছ এবং ফল-মূল।
- এই শহরে দু’কদম হাটলেই বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে।
পছন্দের কেনাকাটা–
- সুলভ মূল্যে কেনাকাটা হোক আপনার সাতক্ষীরা ভ্রমণে।
কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো? রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?
- সাতক্ষীরা যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন। প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
- বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
- প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থার য়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।