সিলেট ভ্রমণ – কোথায় থাকবো? কোথায় খাবো? কি কি দেখবো? ইত্যাদিও তথ্য

মেট্টোপলিটন এই শহর সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত। পর্যটন এলাকা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত মানুষের কাছে,  সিলেট শহর । জৈন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য, জাফলং এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, ভোলাগঞ্জের সারি সারি পাথরের স্তূপ, বিছানাকন্দির স্বচ্ছ জলরাশির  শহরে আপনাকে স্বাগতম। সিলেট ভ্রমণ হোক।

পরিচিতিঃ

বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের আলাদা আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম সিলেটি আঞ্চলিক ভাষায় একটি বিশেষত্ব রয়েছে। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে।  সিলেটের বহু বাসিন্দা দেশে বিদেশে ছড়িয়ে আছে। রয়েছে অসংখ্য ভ্রমণের জায়গা। ইতিহাস সমৃদ্ধ এই অঞ্চল ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম পছন্দের স্থান। এটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন নগরী হিসেবে সারাবিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে। বহুযুগ ধরে সিলেট একটি বাণিজ্যিক শহর হিসেবে প্রচলিত আছে। ধারণা করা হয়ে থাকে যে “হরিকেলা রাজত্বের” মূল ভূখন্ড ছিল এই সিলেট।

 যেভাবে যাবেন-

আপনি যে এলাকা থেকে ‍সিলেট আসতে চাচ্ছেন। সেই এলাকার নাম এবং যেখানে যাবেন (সিলেট) সিলেক্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সার্চ করুন। আমাদের ওয়েবসাইট (কেমনে যাবো ডট কম)-এ পাবেন, বাস কাউন্টার লোকেশন এবং ফোন নাম্বার, বাসের ভাড়া, বাসের ধরণ (এসি / নন-এসি) এবং সক্ষিপ্ত ইতিহাস।




দর্শনীয় স্থান- ( সিলেট ভ্রমণ )

আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটাতে এখানে রয়েছে অনেক ঝর্ণা ও নৈস্বর্গিক নিদর্শন।

আকর্ষনীয়  দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে- 

 হযরত শাহজালালের দরগাহঃ

শাহ জালালের দরগাহ সিলেট শহরের একটি আধ্যাত্মিক স্থাপনা, যা মূলত ১৩০৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে আগত পাশ্চাত্যের বাসস্থান ও শেষ সমাধি। দরগাহ টিলার পশ্চিমে অল্প দূরে হযরত শাহ জালালের অলৌলিক উৎস বা ঝরণা অবস্থিত।

শাহী ঈদগাহ, সিলেটঃ

সিলেট শহরের উত্তর সীমায় ঈদগাহ মাঠের অবস্থান। ১৭০০ সালের প্রথম দিকে  সিলেটের ঐতিহাসিক স্থাপনা শাহী ঈদগাহ নির্মাণ করা হয়। সিলেট শহরের কেন্দ্রবিন্দু হতে প্রায় দুই কি.মি দূরত্ব শাহী ঈদগাহ। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হতে ৭কি.মি দূরত্ব।

শাহ পরাণের মাজারঃ

শাহ পরাণের মাজার সিলেট শহরের একটি পূণ্য তীর্থ বা আধ্যাত্মিক স্থাপনা। ১৩০৩ খ্রিষ্টাব্দে মধ্যপ্রাচ্য হতে বাংলাদেশে আসা ইসলাম ধর্ম প্রচারক শাহ জালালের অন্যতম সঙ্গী অনুসারী শাহ পরাণের সমাধি। শাহ জালালের দরগাহ থেকে প্রায় ৮ কি.মি দূরত্বে শাহ পরাণের মাজার অবস্থিত।

ক্বীন ব্রীজঃ

সিলেট শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া সুরমা নদীর উপর স্থাপিত লোহার নির্মিত সেতু। সিলেটের অন্যতম দর্শনীয় স্থান এবং ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে পরিচিত। এটি হল সিলেট শহরের প্রবেশদ্বার। সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই ক্বীন ব্রীজটি অবস্থিত।ব্রীজটি দৈর্ঘ্য ১১৫০ ফুট এবং প্রস্থ ১৮ ফুট। পাশে রয়েছে আলী আমজদের ঘড়ি।

মালনীছড়া চা বাগানঃ

মালনীছড়া চা বাগান হল বাংলাদেশের সিলেট জেলায় অবস্থিত একটি চা বাগান। উপমহাদেশেল বৃহত্তম এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান। ১৮৫৪ সালে লর্ড হার্ডসন ১৫০০ একর জায়গার উপর এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সিলেট বিমানবন্দর থেকে স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত এই মালনী চা বাগান। পূর্বদিকে ঢুকে পড়লে দেখা যাবে হারং হুরং গুহা। মালনীছড়া প্রধান বাংলোর পাশের রাস্তা দিয়ে অন্তত তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকে হাটলেই গুহার দেখা যায়। আরো রয়েছে লাক্কাতুরা চা বাগান, আলী বাহারি টি এস্টেট এবং পশ্চিম দিকে ভেতরে তারাপুর চা বাগান এই এরিয়াতে অসংখ্যা চা বাগান রয়েছে।

মুরারিচাঁদ কলেজঃ

সিলেট শহরের টিলাগড় এলাকায় অবস্থিত মুরারিচাঁদ কলেজ অবস্থিত। প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯২ সালে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ঃ

বাংলাদেশের সিলেট শহরে অবস্থিত একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি। এটি এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বড় একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

মিউজিয়াম অব রাজাসঃ

রাজাদের জাদুঘর যা হাসন রাজার জাদুঘর নামেই সমধিক পরিচিত। একসময় হাসন রাজার উত্তরসূরিদের রাজবাড়িটিই বর্তমানের বিখ্যাত হাসন রাজা জাদুঘর। এটি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারে অবস্থিত। বিমানবন্দর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।

টিলাগড় ইকোপার্কঃ

টিলাগড় ইকোপার্ক সিলেট জেলার টিলাগড় এলাকায় অবস্থিত দেশের ৩য় ইকোপার্ক। সিলেটের উত্তর পূর্বে কোণে ৮ কি.মি দূরত্বে অবস্থিত এই টিলাগড় ইকোপার্ক।

জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজঃ

সিলেটের শেখঘাটে কাজীর বাজারে অবস্থিত। জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হচ্ছে বাংলাদেশেল একটি বেসরকারি মেডিকেল স্কুল। সিলেটের ৮.২২ েএকর জুড়ে রয়েছে এর ক্যাম্পাস।

জিতু মিয়ার বাড়ীঃ

জিতু মিয়ার বাড়ি হল সিলেটের জায়গীরদার খান বাহাদুর আবু নছর মোহাম্মদ এহিয়া ওরফে জিতু মিয়ার আবাসস্থল। এটি সিলেটের অন্যতম প্রধান দর্শনীয় স্থান।

রাতারগুলঃ

সিলেটের অন্যতম দর্শনীয় স্থঅন রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট। এটি সিলেট জেলা শহর থেকে প্রায় ২৬ কি.মি দূরে গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। দেখার মত অসংখ্য জায়গা রয়েছে যা আপনার মনে নতুন এক ভাবাবেগ সৃষ্টি করবে।

বিছনাকান্দিঃ

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে অবস্থিত এই অন্যতম বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারী। বিছনাকান্দি যে কোন সময় ভ্রমণের জন্যে উপযুক্ত । পাথর ঘেষে প্রচুর পানি প্রবাহ থাকার কারণে বিছানাকান্দির বলা হয়।

জাফলংঃ

সিলেটের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম স্থান জাফলং। জাফলং প্রকৃতির কন্যা হিসাবে পরিচিত। সিলেটের জাফলং এর দূরত্ব ৬২ কি.মি। রয়েছে নানার রকম দেখার মত দৃশ্য নদীর স্বচ্ছ পানি ধারা, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ, উঁচু উঁচুব পাহাড়।

ভোলাগঞ্জঃ

সিলেটের অন্যতম দর্শনীয় স্থান ভোলাগঞ্জ যা সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানিগঞ্জে অবস্থিত। পাহাড় থেকে বেয়ে পড়া জলাধারা পাহাড়ে ঘেষে যায়।

লোভাছড়াঃ

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার স্বচ্ছ পানির নদী হল লোভাছড়া। পাহাড় ঘেরা জলরাশি, নদী, নীল আকাশ প্রাকৃতিক  এই নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য উপহার দিয়েছে অনন্যা লোভাছড়া। আরও দেখতে ভাল বর্ষার চা বাগানের সৌন্দর্য্য। সিলেট শহর থেকে কানাইঘাট উপজেলায় যেতে হবে।

সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণাঃ

সিলেট শহরের জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগে সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা যেতে। রয়েছে পাথর, পানি, পাহাড়, সুরড়ঙ্গ। ভ্রমণ পাগলদের জন্য অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

তামাবিলঃ

সিলেটে প্রকৃতির রুপে অনন্য স্থান সবুজ পাহাড়ের টিলায় ঘেরা তামাবিল। জাফলং থেকৈ ৫ কিলোমিটার দূরত্ব।

পান্থুমাই ঝর্ণাঃ

বাংলাদেশে-ভারত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত মেঘালয় পাহাড়ের কোল ঘেঁষা একটি অপূর্ব গ্রামের নাম। উঁচু পাড়ার থেকে জল নেমের পড়া দৃশ্য অন্যরকম সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তুলে। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের এই গ্রাম বাংলাদেশেল সবচেয়ে সুন্দর গ্রামগুলোর মধ্যে অন্যতম ।



যেখানে রাত্রিযাপনঃ ( সিলেট ভ্রমণ ?)

  • ৫০০ টাকার রুম থেকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট অবধি ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে হোটেল বটম হিল প্যালেস হোটেল, রোজ ভিউ হোটেল, হোটেল গ্র্যান্ড সুরমা, হোটেল পায়রা, হোটেল স্টার প্যাসিফিক, হোটেল নাজিম, হোটেল হলিসাইড, হোটেল হিল টাউন ইত্যাদি।
  • রুম বুকিং করতে পারেন – বুকিং রুম।

যেখানে খাবেনঃ ( সিলেট ভ্রমণ ?)

    • সিলেটের খাবার?
    • সিলেটি রন্ধনশৈলী হল সিলেটি খাবার সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করে। সিলেটি খাবারের মধ্যে রয়েছে  আখনি, বিরইন ভাত, খিচুড়ি, সাতকরার গরুর মাংস, চিকেন টিক্কা মাসালা, হাঁস বাশ, ফাল, হুটকি শিরা, নুনর বড়া, হান্দেশ, চুঙ্গা পিঠা, তুশা শিন্নি িইত্যাদি খাবার ঐতিহ্য খাবার। জনপ্রিয় সাত রং চা কে জানে এর ব্যাপারে। সাতটি লেয়ার কিভাবে তৈরি করে হাতের কী জাদু। সিলেটি পান-সুপারি দিয়ে সিলেটি খাবার শেষ হয়। আরও রয়েছে সিলেটির ঐতিহ্য খাবার খিচুড়ি।
    • সিলেট শহরে দু’কদম হাটলেই  বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেলে খাবার জুটে। সিলেট যাবো




কোথায় গাড়ি পাব? কাউন্টার কোথায়? গাড়ি না পেলে কী করবো?  রাতে কী গাড়ি পাব? থাকার জায়গা পাব? রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে?

  • সিলেট যে প্রান্তে আসবেন না কেন? কিংবা যেখানে থাকেন না কেন? আপনি খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। সব স্টেশনে আপনি কাউন্টার পাবেন । প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন বাস কাউন্টার রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনার গন্তব্যের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
  • আপনার কাউন্টার খুঁজে পেতে আমাদের নিচের বাস কাউন্টার নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে আপনাকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দিবে।
  • বাস স্ট্যান্ড ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত ব্যবস্থা খোলা থাকে। আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করলে বাসের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
  • প্রতিটা স্টেশনে, অলি-গলিতে আপনার থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। উপরে লিংকে প্রবেশ করে রুম বুক করতে পারেন।

ছোট ছোট পাহাড় থেকে পড়া জলধারা, পানি বিছিয়ে যায় পুরো  লেক জুড়ে, পাথরে ঘেষে যায় পানি, প্রকৃতির সবুজ সৌন্দয্য মৃদু হাওয়া নীল আকাশ, ব্রীজ, ঝর্ণা, জাফলং, শাহজালাল (রহ) এর মাজার এই শহরের তুলনায় হয় না। এমন শহরে আপনাকে আবারও আমন্ত্রণ।

বাংলাদেশের অনান্য দর্শনীয় স্থানের সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

x